লাখো মানুষের অংশগ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার আড়াইবাড়ি আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার সাঈদীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) বাদ আসর আড়াইবাড়ি আলিয়া মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন গোলাম সারোয়ার সাঈদীর বড় ছেলে গোলাম সোবহান সাঈদী।
জানাজার শুরুতেই গোলাম সারোয়ার সাঈদীর মৃত্যুতে ফোনে সমবেদনা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তার জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানুষের সমাগম ঘটে।
জানাজায় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন, ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন ও কসবা পৌরসভার মেয়ার এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ বিশিষ্ট আলোমরা অংশ নেন।পরে জানাজা শেষে আড়াইবাড়ী মাদ্রাসা সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে গোলাম সারোয়ার সাঈদীকে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় মরহুমের লাশ ঢাকা থেকে কসবা আড়াইবাড়ি পৌঁছে। এসময় লাশবাহী গাড়ি মরহুমের প্রিয় ক্যাম্পাস মাদরাসা মাঠে রাখা হয়। প্রিয় আল্লামাকে এক নজর দেখতে ভিড় জমায় হাজার হাজার ভক্তরা। এসময় শোকাহত জনতার আল্লাহু আকবর ধ্বনি ও কান্নায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
বাদ আসর জানাজা হলেও যোহরের আগে থেকেই কানায় কানায় ভরে যায় মাদরাসা ময়দান। মাঠে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মসজিদ, পাশের ফসলের মাঠ, মাদরাসার প্রতিটি কক্ষ, ছাদ ও রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী কিছু দিন আগে কোভিড-১৯-এ আ’ক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তিনি শনিবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে ওই হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি ছিলেন উপমহাদের একজন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার। মাহফিল, সভা, সমাবেশ ও ইউটিউবে তার যুক্তিপূর্ণ জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য সমাজের সকলস্তরের মানুষের হৃদয়কে দারুণভাবে আকৃষ্ট করত।