গবেষকরা জানিয়েছেন যে, সারাদিন ১-২ গ্লাস গরম পানি পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু বিশেষ সুবিধা বয়ে আনতে পারে। উষ্ম পানি, হজম ক্ষমতা ও রক্ত চলাচলকে উন্নত করতে, ওজন হ্রাস করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
তাই শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে রোজ খান ১-২ গ্লাস গরম পানি। গরম পানি শরীরের থেকে সমস্ত ক্ষতিকারক টক্সিনকে বের করে শরীরকে ডিটক্স করে। গরম পানি ঘাম ও মূত্রের মধ্য দিয়ে শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ গরম পানি হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে। পাকস্থলি এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাবার সময় হজম অঙ্গগুলোকে আরও ভালোভাবে হাইড্রেটেড করে, যার ফলে বর্জ্য বস্তু শরীর থেকে নিষ্কাশিত হয় এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম পানি পান করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ এটি বহু মানুষের একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রাত্রে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস করে গরম পানি পান করুন। এটি অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় অন্ত্রকে সংকুচিত করে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।
শরীরের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতেঃ গরম পানি পান করলে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হয় বলে এটি শরীরের প্রতিটি স্নায়ুকে সচল রাখতে সাহায্য করে যা শরীরের বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। মাথা যন্ত্রণা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক খিচুনিতে আরামদায়ক গরম পানি।
রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতেঃ গরম পানি শরীরের ব্লাড ভেসেলস কে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। ফলে প্রতিটি নার্ভ সচল থাকে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
অনিয়মিত পিরিয়ড ও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়ঃ মহিলাদের ক্ষেত্রে গরম পানি পান করার একটি বড় সুবিধা হলো, এটি অনিয়মিত ঋতুস্রাব ঠিক করতে এবং ঋতুস্রাবের ব্যথা থেকে উপশম দিতে সহায়তা করে। অনেক সময় রক্ত জমাট বেঁধে তা বেরোতে না পারলে ব্যথা হতে থাকে। এই সময় গরম পানি পান করলে জমাট বাধা রক্ত ভেঙে গিয়ে ব্লাড ফ্লো সঠিকভাবে হয়, যা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মেদ ও ওজন কমায়ঃ গরম পানি শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এবং খিদে কমায়। ফলে ‘ক্যালরি ইনটেক’ কম হয়, যা দ্রুত ওজন ঝরাতে সহায়ক। তাই প্রতিদিন সকালে খালিপেটে লেবু বা মধু এক গ্লাস গরম পানি মিশিয়ে পান করুন।