আইসিসির ভবিষ্যত ট্যুর প্লান অনুযায়ী ২০২০ সালে খুব বেশি সিরিজ ছিল না বাংলাদেশের। করোনা মহামারির কারনে তা আরো কমে গিয়েছে। চলতি বছরে ওয়ানডে বলতে কেবলই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। আর এই তিন ম্যাচ খেলেই ২০২০ সালের সেরাদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন লিটন দাস। এ বছর ওয়ানডে ক্রিকেটের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ খেলার পর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ খেলার কথা ছিল টাইগারদের। তালিকায় ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচও। তবে করোনার কারণে সেই ম্যাচগুলো স্থগিত ষোষণা করা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশই নয় করোনার কারণে ভেস্তে গেছে বিশ্বের সব দেশেরই বেশ কিছু সিরিজ।
চলতি বছরে আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে না বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ। চলমান বছরে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ওয়ানডে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। আর ৯টি করে ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড ও ভারত। যে কারণে সবচেয়ে বেশি রান করার তালিকায় তাদেরই দাপট। তবে ভিন্ন এক জায়গায় ঠিকই এগিয়ে আছেন বাংলাদেশের লিটন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে দারুণ সময় পার করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ওই সিরিজে ৩ ম্যাচে মোট ৩১১ রানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭৬ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। যা কিনা ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশীদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। শুধু তাই নয়, চলতি বছরে বিশ্বের কোন ক্রিকেটার লিটনের চেয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করতে পারেননি।
যদিও খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ না পাওয়ায় সেরা দশ সংগ্রাহকের তালিকায় ঢুকতে পারেননি লিটন। ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি রান তোলা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ১২ নম্বরে। তাঁর সতীর্থ তামিম রয়েছেন ১৩ নম্বরে। ওই সিরিজেই ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। যা ছিল চলতি বছর ওয়ানডেতে প্রথম দেড়শো রানের ইনিংস।
এবছরে সবচেয়ে বেশি রান তোলার তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ। ১৩ ইনিংসে ৬৭৩ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ চারবার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন ভিভ রিচার্ডস ও ডেসমন্ড হেইন্স। তিনবার করেছেন ভারতের রোহিত শর্মা। আর দুইবার করে এই তালিকায় আছেন শচীন টেন্ডুলকার এবং ইয়ান চ্যাপেল।