আজ শনিবার মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তবে তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী নিম্নস্তরের মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েছেন। অধিকারবঞ্চিত অবহেলিত মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে মওলানা ভাসানী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। উপমহাদেশের যে সব রাজনৈতিক নেতা জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা অবলীলায় ভুলে গেছেন, ভাসানী ছিলেন তাদের বিপরীত মেরুর মানুষ।
শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মওলানা ভাসানী। ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক লং মার্চে নেতৃত্ব দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন।
এদিকে, মওলানা ভাসানীর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন ও স্মরণসভা করবে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্রচিন্তা ও গণসংহতি আন্দোলন মিলে আয়োজন করবে ‘মওলানা ভাসানী ও আমাদের সময়ের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা।
একইদিন রাজধানীর নয়া পল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। দলের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা জানান, দলের সকল মহানগর, জেলা ও শাখা কমিটি স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।