রূপসা প্রতিনিধি: রূপসায় ইট ভাটা মালিকদের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে গত ২১ ডিসেম্বর দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৮ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জানাগেছে, ইট ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে সরকারী বৃক্ষ কর্তন, সরকারী নদীর মাটি খনন, সরকারী রাস্তা দখল, ভূমি দখল সহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। সূত্রমতে, ভাটা মালিকেরা ইট তৈরী করার জন্য নদীর পাড় কেটে বড় বড় পুকুর খনন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক মুজিব শতবর্ষ পালন উপলক্ষ্যে নদীর দুপাড়ে রোপনকৃত বৃক্ষ কেটে উক্ত জায়গায় ইট শুকানোর পট তৈরী করেছে। ইট ভাটা মালিকেরা বহমান নদীর দুপাড়ে ভাটার বজ্য, অর্ধপাকা/আধলা ফেলে নদী ভরাট করে ভাটার জায়গা বৃদ্ধি করেছে। ছোট ছোট ইটের সোলিং দ্বারা নির্মিত সরকারী রাস্তা দখল করে ইট শুকানোর পট তৈরী করেছে। এ ছাড়া অবৈধ ট্রলী গাড়ীতে ইট বহন করে উপজেলার সর্বস্তরের রাস্তার ক্ষতি সাধন অব্যহত রেখেছে। এ কারনে জনসাধারণের শতাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে মাঠে নামে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আলাইপুর ব্রীকস এর স্বত্তাধিকারী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ আলী শিকদারের কে ৫ লক্ষ টাকা, আজাদ ব্রীকস এর স্বত্তাধিকারী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ইসহাক সরদারকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং এএসবি ব্রীকস এর স্বত্তাধিকারী সিরাজ সিকদারকে ৫০ হাজার টাকা সহ সর্ব মোট ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দন্ডে দন্ডিত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: কামাল উদ্দীন বাদশা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রাকিবুল হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশিষ বসাক, রূপসা থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে উৎসুক জনতার আগমন লক্ষ করা গেছে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে জনমনে সস্তি ফিরে এসেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার জানান, পর্যায় ক্রমে উপজেলা সকল ইট ভাটায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন অবস্থাতেই কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।