• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় এসির তার চুরির ৩ ঘন্টার মধ্যে চোরকে আটক করে মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত নাচোলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার বরাদ্দের অর্থ লোপাটের অভিযোগ খামারিদের নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান নাচোল জামায়াত বিএনপির ৩ প্রার্থীর মনোনায়ন প্রত্যাহার নাচোলে নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে ৮লাখ ৯হাজার টাকা ও ১৬১টি সাইকেল বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জীবন মানোন্নয়নের ১৬৭ জনকে বাইসাইকেল বিতরণ সমসপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে কোষাগার শূন্য করার অভিযোগ শিক্ষকদের ! শিবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী

গোমস্তাপুরে সোনাতলা বাঁধ সংস্কারে দুর্নীতির অভিযোগ

Reporter Name / ১৭৫ Time View
Update : শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক,গোমস্তাপুর: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সোনাতলা বাঁধ সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাঁধ সংস্কারের নামে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। বাঁধের উপর রোপন করা বন বিভাগের গাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে বাঁধ সংস্কারের নামে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও বন বিভাগের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এলজিইডি-র টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের ৮ জুন, ২০২০ সালের পত্র অনুযায়ী চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে গোমস্তাপুর উপজেলার আলীনগর-বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের পাবদামারী চুড়ইল বিলের প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কারের জন্য ৭৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বাঁধ কমিটির নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। যা ১৬টি গ্রুপে ভাগ করে সাড়ে ৩ মাসে ৩০ শতাংশ জনবল ও ৭০ শতাংশ মেশিন দিয়ে সংস্কার করার কথা। কিন্তু কাজের শর্তানুযায়ী আড়াই মিটার দূর থেকে মাটি উত্তোলনের কথা থাকলেও তা না করে ১ মাসের মধ্যেই স্কেবেটার মেশিন দ্বারা বাঁধের পাশের জমি থেকে বড় বড় গর্ত করে মাটি উত্তোলন করে বাঁধের উপর ফেলা হচ্ছে। ৩০ শতাংশ জনবল কাজে না লাগিয়ে রাতারাতি মেশিন দিয়ে কাজ সম্পন্ন করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বাঁধ সংস্কার কমিটি।
এদিকে, মেশিন দিয়ে জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে গর্ত তৈরি করায় জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা কৃষকরা অভিযোগ করেন। কাজের চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্প এলাকার দুই পাশে প্রকল্প চিহ্নিতকরণ তথ্যবোর্ড দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন তথ্যবোর্ড দেয়া হয়নি। এছাড়া ২০০১ সালে বাঁধে বন বিভাগের রোপনকৃত বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ এবং বাঁধের পাশের জমির মালিকদের রোপনকৃত গাছ কেটে লুটপাট করে বাঁধ কমিটি। যার বাজার মূল্য কয়েক লাখ টাকা। বাঁধের উপর বন বিভাগের রোপন করা গাছ পরিচর্যা করা উপকারভোগীরা বলেন, গাছ কাটতে বাধা দেয়ায় তাদের হুমকি দেয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক দুরুল হোদা সেন্টু জানান, বাঁধের পাশে অবস্থিত তার আমবাগান থেকে জোর করে মাটি উত্তোলন করে বাঁধের উপর ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে এলজিইডি-র উপজেলা প্রকৌশলী ও বাঁধ কমিটিকে অবহিত করা হলে তারা কর্ণপাতই করেনি। বাঁধের পাশের আরেক কৃষক দুরুল হক জানান, তাকে না জানিয়েই তার জমি থেকে বৃহৎ গর্ত করে মাটি উত্তোলন করে। ফলে তার জমি একেবারেই চাষবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বাঁধ সংলগ্ন জমির মালিক রুহুল আমিন সিহাব জানান, তাকেও না জানিয়ে বাঁধ কমিটি তার জমির গাছ কর্তন ও মাটি উত্তোলন করে। তাতে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি এ ঘটনার প্রতিকার চান।
এদিকে বন বিভাগের গাছ কাটার বিষয়ে উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা সারওয়ার জাহান জানান, বাঁধের দুই পাশে ২০০১ সালে বন বিভাগের রোপনকৃত ৮৯টি গাছ বাঁধ কমিটির সদস্যরা অবৈধভাবে কেটে ফেলেছে। পরবর্তীতে এ ঘটনা জানতে পেরে গোমস্তাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় বেশ কিছু গাছ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পাবদামারি চুড়ইল বিল বাঁধ কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার জানান, নিয়ম মেনেই বাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। তাছাড়া বাঁধের পাশের জমির মালিকদের অবহিত করে গাছ কর্তন ও মাটি কাটা হয়েছে। জমির মালিকরা যে অভিযোগ এনেছেন তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সুলতানুল ইমাম জানান, বাঁধ কমিটির সভাপতিসহ অন্য সদস্যরা বাঁধের পাশের গাছগুলো জমির মালিকদের বলে জানিয়েছেন। সে ধারণা থেকে বাঁধ সংস্কারের স্বার্থেই এ গাছগুলো কাটা হয়েছে। এছাড়া বাঁধ সংস্কারে যদি কোন প্রকার অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!