বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি:
মুজিব বর্ষ সফল ও সার্থক করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সেবার মান উন্নয়নে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃমো,আক্তারুজ্জামান।
তিনি প্রতিদিন হাসপাতালের বাহিরের ও অভ্যন্তরের রোগীদের স্বাস্থ্য সেবার খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে হাসপাতালে আসা রুগীদের সাথে কথা বলে জানার চেস্টা করেন বাহিরে কোন পরীক্ষার বা টেস্ট করতে কোন চিকিৎসক পাঠাচ্ছেন কি না। যেহেতু বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্যাথলজিতে প্রায় সকল বিষয়ে সরকারী খুবই কম খরচে পরীক্ষার ও টেস্ট করা হয়। হাসপাতালের অকোজো সরঞ্জাম চালু করার উদ্যোগ ও বিশেষ করে শিশু ও মহিলাদের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছেন। ডাক্তার মো,আক্তারুজ্জামান জানান,এই হাসপাতালে অপারেশনের জন্য পরিবেশ ও গাইনী,এনেস্থিসিয়া সহ ডাক্তার নেই।আমি যথা যথ কর্তৃপক্ষে কে জানিয়েছি গরীব-দুখী মানুষসহ অত্র উপজেলাবাসীর প্রয়োজনে হাসপাতালে অপারেশনের পরিবেশ তৈরীর জন্য।
উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালে সকল ব্যবস্থা চালু করলে রাজশাহী মেডিক্যালের রুগীর চাপ কমবে বলে আমি মনে করি।
বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে গত কয়েক মাসে জেলার সর্বাধিক পরিমানে টাকা সরকারী কোষাগারে প্রদান করিয়েছি বাঘা হতে।
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোড়ালো করেছেন এই কর্মকর্তা ।
হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ও সৌন্দর্য বর্ধনে সকল কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে মতবিনিময় করেন তিনি।
খোঁজখবর নিতে গিয়ে আরও জানতে পাড়া যায়,নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন,ডাক্তার মো,আক্তারুজ্জামান যোগদানের পরে হাসপাতালের সরকারী কোয়াটারে নিয়মবহিঃভূত ভাবে যারা বসবাস করছেন,তাদের নোটিশ করেছেন কোয়াটার ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
হাসপাতাল চত্তরে অবস্থিত একটি ছোট পুকুর ও কয়েকটি আমগাছ লিজ না দিয়ে ডাক্তার আক্তারুজ্জামান প্রাকৃতিক ভাবে মাছ ও ফল উৎপাদন করে সকল কর্মকর্তা- কর্মকর্মচারীদের দিয়ে আসছেন।
হাসপাতালে হেড এসিস্ট্যান্ড,ক্যাশিয়ার ও একাউন্টেন্ট এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূণ্য থাকায় স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় জনস্বার্থে একজন স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করা হচ্ছে।