• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নাচোলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার বরাদ্দের অর্থ লোপাটের অভিযোগ খামারিদের নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান নাচোল জামায়াত বিএনপির ৩ প্রার্থীর মনোনায়ন প্রত্যাহার নাচোলে নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে ৮লাখ ৯হাজার টাকা ও ১৬১টি সাইকেল বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জীবন মানোন্নয়নের ১৬৭ জনকে বাইসাইকেল বিতরণ সমসপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে কোষাগার শূন্য করার অভিযোগ শিক্ষকদের ! শিবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিম বুথ উদ্বোধন করলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসাক এ.কে.এম গালিভ খাঁন নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক নুরুল হক ফনি মাস্টার এর মৃত্যু।

যুদ্ধাপরাধ: ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৫ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড

Reporter Name / ১৮৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ৯ জনের মধ্যে ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৫ আসামির ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- আবুল কালাম, ফয়েজ উল্লাহ ও আ. রাজ্জাক। ২০ বছরের দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- খলিলুর রহমান, আবদুল্লাহ, রইস উদ্দিন, আলিম উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম। অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া একমাত্র আসামি হলেন আবদুল লতিফ।

এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২২২ পৃষ্ঠার এ রায় পড়া শুরু হয়। রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান, রেজিয়া সুলতানা চমন এবং আসামিপক্ষে আছেন আব্দুস শুকুর খান ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের খলিলুর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ২৬ জানুয়ারি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলায় ১১ জন আসামি ছিলেন। বিচার চলার সময়ে দুই জন মারা যান। ২০১৮ সালের ৪ মার্চ চারটি অভিযোগে ময়মনসিংহের ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া গ্রেপ্তার আছেন- ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রামের খলিলুর রহমান মীর (৬২), একই গ্রামের মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম (৬৫), একই গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ (৬২), মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী (৭৪)। আসামি আব্দুল লতিফ স্বেচ্ছায় ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। বিচার চলার সময়ে আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার (৬৮) ও নুরুল আমীন শাজাহান মারা যান। এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন- এএফএম ফয়েজ উল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, সিরাজুল ইসলাম, আলীম উদ্দিন খান। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৪ জনকে হত্যা, ৯ জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!