বরিশাল জেলা প্রতিনিধি :
রাতের আঁধারে হামলায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অর্ধশত শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এসময় মহাসড়কে ইট-কাঠ ফেলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। বুধবার সকাল ৭টা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকের সামনের এ মহাসড়কে ইট ও কাঠ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় একটি যাত্রীবাহী বাসেও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন তারা।
এদিকে রাতের ওই হামলার ঘটনায় আহত ১১ জনকে সকাল সাড়ে ৯টায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে বরিশাল নগরের রুপাতলী হাউজিং এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ম্যাচে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের ম্যাচে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের উদ্ধারে এগিয়ে যান। এসময় তারাও হামলার শিকার হয়। হামলায় আহত ১১ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সকাল ৭ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় একটি বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সড়কে ইট ও কাঠ ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এ ঘটনায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। হামলা কারীদের গ্রেফতার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এর আগে মঙ্গলবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল সজল ও ফারজানা আক্তার মেমি নিজ বাড়ি খুলনায় যাওয়ার জন্য রুপাতলীস্থ বিআরটিসি কাউন্টারে যায়। সেখানে কাউন্টার স্টাফ রফিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে সজল ও মেমিকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে।
এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে এবং রফিককে গ্রেফতারের দাবি জানায়। পুলিশ রফিককে ১ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে, এরপর রাতেই শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।