অবশেষে থানা পুলিশ চিরিরবন্দরের বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরকারী ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় (৪৫) কে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে। ধৃত ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের পঞ্চায়েতপাড়ার মৃত ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বেশ কয়েকদিন যাবত উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কালি মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য মন্দির কমিটিসহ সকলেই মন্দিরে মন্দিরে পাহারা বসায়।
গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার পরে আটককৃত ক্ষিতিশ চন্দ্র উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের আন্ধারমূহা কালিমন্দির, বটতলী কালি মন্দির, সাঁইতাড়া ইউনিয়নের কালিতলা বাজার সংলগ্ন কালি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের চেষ্টা করে। সে বাঁধা পেয়ে পালিয়ে যায়।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, কয়েকটি মন্দিরের কমিটির লোকজন প্রতিমা ভাঙ্গার চেষ্টা ও পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ থানায় জানালে থানার সকল কর্মকর্তা, পুলিশ প্রতিমা ভাঙচুরকারীকে আটকের জন্য অভিযানে নামে। রাত আনুমানিক পৌঁণে ২টায় তাকে উপজেলার ঘুঘুরাতলী এলাকা থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে সকল প্রতিমা ভাংচুরের কথা স্বীকার করেছে। সে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হতে পারে।
প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে থানায় সে এ প্রতিনিধিকে বলেন, প্রতিমাগুলো দীর্ঘদিন হওয়ায় ও রং নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সে প্রতিমাগুলো ভাঙছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে থানায় ৩ টি মামলা রুজু করা হয়। এতে সন্দেহজনকভাবে ৮জনকে আটক করা হয়।