নাচোল প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জেলা প্রশাসন ঘোষিত বিশেষ লকডাউনকে তোয়াক্কা না করে বসছে হাটবাজার, খুলছে দোকানপাঠ, চলছে বিভিন্ন যানবাহন, মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি । উপজেলা প্রশাসন ও নাচোল থানা পুলিশ কঠোর তৎপরতা চালালেও জনগনকে নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা।
সরেজমিনে দেখাগেছে, আজ রবিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নাচোল বাজারের সাপ্তাহিক হাট বসে যথানিয়মে। হাট বন্ধের বিষয়ে প্রশাসনরে কোন প্রচার প্রচারনা না থাকা ব্যবসায়ীরা যথা নিয়মে তাদের পসরা নিয়ে হাটে বসে। আর সেখানে হোটুরিরা তাদের কেনাকাটর জন্য বাজারে যায়। বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীরা ঠাসাঠাসি ও গাদাগাদি করে বসে মালামল ক্রয়বিক্রয় করছে। মাছ, শাকসবজির, ফলমুল মুদিদোকানসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নিয়ে শতশত দোকানীকে বসতে দেখা যায়। কোথায় স্বাধ্যবিধি মানার বালাই নাই। অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি। এছাড়া নসিমন-করিমন, চার্জার ভ্যান, দোলনা, মোটর সাইকেল পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। দুপুর ১২টা দিকে মধ্যবাজারে হাটে এসে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম মাইকিং করে হাট বন্ধ করেন। রবিবারের হাট লাগার বিষয়ে নাচোল পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন ঝালুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই লকডাউন চলাকালে কোন ধরনে হাটবাজার বসা যাবেনা। কাঁচা বাজার, মুদি দোকার ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাঠ বন্ধ থাকবে। যা ইতিপূর্বে ২বার পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করে ঘোষনা করা হয়েছে। এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি খাদিজা বেগম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সবরকম হাটবাজার লাগা নিষেধ। কেবলমাত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচা বাজার, মুদি দোকান ও ওষুধ এর দোকান খোলা থাকবে। হাট লাগার বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষনি তা বন্ধ করা হয়।
এছাড়া নাচোল পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর চায়ের দোকান, মুদি দোকান, কাপড়ের দোকান, কনফেক্সনারী দোকানপাঠসহ বিভিন্ন পন্যসামগ্রীর দোকান খুলে থাকার অভিযোগ পাওয়াগেছে। রাতের বেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে অতিরিক্ত ইট ও বালি বোঝায় ট্রলি, ট্রাক্টর, কাকড়া ভর্তি করে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করেতে দেখা যায়। নাচোল রেলস্টেশন বাজারে গভীর রাত পর্যন্ত দোকান পাঠ খুলে থাকতে দেখা যায়। ফলে সেখানে বহিরাগতসহ অতিরিক্ত লোকের সমাগম ঘটে। ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশ গেলে তাৎক্ষনিক সেখানে উপস্থিত হলে দোকানি ও বহিরাগতরা সটকে পড়ে। তারা ফিরে গেলে পুনরায় বাজার জমজমাট হয়ে উঠে। এবিষয়ে এলাকার সচেতন মহল বিষয়টি গুরুত্বে সাথে দেখার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামান করেছেন।