• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
এসির তার চুরির ৩ ঘন্টার মধ্যে চোরকে আটক করে মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত নাচোলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার বরাদ্দের অর্থ লোপাটের অভিযোগ খামারিদের নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান নাচোল জামায়াত বিএনপির ৩ প্রার্থীর মনোনায়ন প্রত্যাহার নাচোলে নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে ৮লাখ ৯হাজার টাকা ও ১৬১টি সাইকেল বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জীবন মানোন্নয়নের ১৬৭ জনকে বাইসাইকেল বিতরণ সমসপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে কোষাগার শূন্য করার অভিযোগ শিক্ষকদের ! শিবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত

তাহেরপুরে দূর্গাপুজা’র উৎপত্তিস্থল মন্দির পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

Reporter Name / ৬৪১ Time View
Update : বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২

মিজানুর রহমান, বাগমারা উপজেলা প্রতিনিধিঃ

চলছে শারদীয় দুর্গোৎসব, কিন্ত এই দুর্গাপূজা পালিত হবার আদি ইতিহাস অনেকেই জানেনা। এমনকি হিন্দু ধর্মের লোকজনও জানেনা কবে, কোথায়,কখন থেকে শুরু হয় দুর্গাপূজা মহাষষ্ঠীর সকালে ঢাকি সুকেশ স্যানাল ঢাকে কাঠির বাড়ি দিয়েই যাচ্ছেন। পূজার জোগালি কানাই হালদার, আর পুরোহিত গোপাল চক্রবর্তী এটা-ওটা গোছাতে ভীষণ ব্যন্ত। কথা বলতে চাইলে করজোড় করে পুরোহিত বললেন, ‘এখন পারব না যে দাদা। ষষ্ঠী কল্পরাম্ভের বেলা বয়ে যাচ্ছে। এখনই পুজো করতে হবে।’

যে মণ্ডপ নিয়ে কথা, সেটির নাম শ্রীশ্রী গোবিন্দ ও দুর্গামাতা মন্দির। রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে এই মন্দির। এটি এখন বাগমারার একটি পৌর এলাকা। রাজশাহী জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরের এই তাহেরপুরের আদিনাম ছিল ‘তাহিরপুর’। আজ থেকে ৫৪০ বছর আগে এখান থেকেই সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু বলে ধারণা করা হয়। সে আমলে রাজা কংস নারায়ণ রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ করে রাজবাড়িতে ওই আয়োজন করেছিলেন। এখনকার আমলে ওই টাকার পরিমাণ ৩০০ কোটিরও বেশি। একবার দুর্গোৎসবের আয়োজনে কোনো মম্যাপে টাকা খরচ আর হয়েছে বলে জানা যায়নি। সম্রাট আকবরের আমলে বাংলার ‘বারো ভূঁইয়া’-এর এক ভূঁইয়া রাজা কংসনারায়ণ রায় ব্যয় করেছিলেন এ অর্থ।

মহাসমারোহে হলো দুর্গোৎসব। ষোলো শতকের সে উৎসবে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ, মতান্তরে ৯ লাখ টাকা। বিরাট ওই উৎসব হয়েছিল রামরামা গ্রামের দুর্গামন্দিরে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে দেখে গেল এই উৎসব। রাজা কংসনারায়ণের প্রপৌত্র (চতুর্থ পুরুষ) লক্ষ্মী নারায়ণের সময় সুবেদার শাহ সুজার সৈন্যদল বারণই নদের পূর্ব তীরে রামরামা গ্রামের রাজা কংসনারায়ণের প্রসাদটি ধ্বংস করে দেয়।

বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় শ্রী শ্রী গোবিন্দ মাতার মন্দির পরিদর্শন আসেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এসময়ে অতিথি দের ফুলের ডালা দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়। মন্দির পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম, দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা, বাগমারা উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, তাহেরপুর পৌরসভা’র মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ, বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম , দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম, তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়ি আইসি জিলালুর রহমান সহ হিন্দু, বৌদ্ধ্য, খৃস্টান ঐক্য পরিষদের ব্যাক্তিগন সহ পুলিশ আনসার সদস্য প্রমুখ।

এম.এস.হোসেন/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!