আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা বলে আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে নাকি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে। যে তারেক রহমান দেশে আসতে ভয় পায় সে কীভাবে দেশ চালাবে।’
আজ শনিবার পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আফজাল হোসেন বলেন, ‘বিএনপি সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাস করে না, তারা অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখল করতে চায়। আগামী ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপির যে প্রত্যাশা তা কখনো পূরণ হবে না। বিএনপির প্রত্যাশার বেলুন ১০ তারিখে চুপসে যাবে। বেলুন চুপসে যাওয়ার পর তাদের হাতে আর কোনো কাজ থাকবে না।
‘আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি কোনোভাবে এটি মেনে নিতে পারছে না। তাই কয়েকদিন ধরে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে বলে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে দিবে। তাদের বলব আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দল। আওয়ামী লীগেকে চাইলে ধ্বংস করা যায় না। দেশের জনগণ সব সময় আওয়ামী লীগের পাশে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আস্তে আস্তে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে গেছেন। বিএনপি এটি মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা যে কোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। এরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের সংবিধানকে ধ্বংস করে সামরিক শাসন জারি করেছিল। দেশের ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল। বাংলাদেশে আইনের শাসন ধ্বংস করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল। এরাই দেশকে জঙ্গিবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া শত শত আর্মি ও বিমানবাহিনীর অফিসারদের হত্যা করেছিল। এ গোষ্ঠী দেশের যত ক্ষতি করেছে তা অন্য কেউ করেনি। নতুন প্রজন্মকে এ ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা। যে মানুষ তার সারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা। আজ বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হয়েছে।
‘আজ সারা দেশের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ এখন চাইলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেশের যে কোনো জায়গায় যেতে পারে। পদ্মা সেতু দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করেছে, যা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য। তার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে নিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার।’
নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনীন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে এই সম্মেলন হয়। এতে বক্তব্য দেন—আওয়ামী লীগের সদস্য আনিসুর রহমান, আমিরুল আলম মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কানাইলাল বিশ্বাস, মো. মুজিবুর রহমান খালেক।