গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের বাঙ্গাবাড়ী ইউনুস স্মরণী স্কুল এ্যান্ড কলেজে নৈশ প্রহরী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত মিটিং চলাকালিন সময়ে অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার সময় বাঙ্গাবাড়ী ইউনুস স্মরণী স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের রুমে মিটিং চলাকালে বাঙ্গাবাড়ী আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সাদেরুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম মওলার নির্দেশে প্রায় ২০-৩০ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হয়ে হামলা চালায় । এ সময় প্রতিপক্ষের পাল্টা হামলায় কোরবান আলী (৩২) গুরুতর অহত হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথা তিনটি সেলাইও দিতে হয়েছে ।
অত্র স্কুলের কেরানি তাইসুদ্দীন হক বলেন, প্রতিষ্ঠানে নৈশ প্রহরী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত মিটিং চলাবস্থায় সাবেক চেয়ারম্যান সাদেরুল ইসলাম অধ্যক্ষকে ফোন দিয়ে বলে আমার দুই জন লোককে মিটিংয়ে নিতে হবে । মিটিংয়ে উপস্থিত অধ্যক্ষ এবং আব্দুল মান্নান সহ সকল সদস্য তাঁর লোকদের নিতে অস্বীকৃতি জানান।
এক পর্যায়ে তাদের দুইজন সদস্য অফিস কক্ষে ঢুকে মিটিং বন্ধ করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গীদেরকে ডেকে অধ্যক্ষের অফিসের চেয়ার, টেবিল, সিসিটিভি ক্যামেরা, টিভি সহ আরও বিভিন্ন আসবাপত্র ভাংচুর করে । তার সাথে সিসিটিভির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ডিভিআর ও স্টোরেজ নিয়ে গেছে বলে জানান অত্র স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল।
হামলায় জড়িতরা হলেন, আনোয়ার হোসেন (৩২) পিতা-মোঃ গান্ডু মিয়া, শহিদুল ইসলাম (৩০) পিতা-মৃতঃ খোকা মিয়া, রনি (৩৩) পিতা-মৃতঃ বজলুর রহমান (পাগলু), কোরবান আলী (৩২) পিতা-আঃ মান্নান, গোলাম মওলা (৩৩) পিতা-মৃতঃ লাল মোহাম্মদ, মিজান আলী (৩৬) পিতা- সাইদুল ইসলাম ।
অফিস ভাংচুরের ঘটনার খবর বাঙ্গাবাড়ী ইউ.পি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানতে পেরে তিনি গ্রাম পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন । এ সময় শহিদুল ইসলামকে হঠাৎ করে আনোয়ার হোসেন (৩২) ও শহিদুল ইসলাম (৩০) রামদা কাতা দিয়ে পিঠে যখম করে ।
পরে শহিদুল ইসলাম ও ইমাম হোসেন গুরুতর আহত হলে, বর্তমানে তাদেরকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ।
এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন, কলেজের ঘটনা জানার পর, গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে ঘটনা স্থলে যাওয়ার জন্য বলেন। সেখানে গেলে তারা আমাকে রামদা কাতা দিয়ে যখম করে ।
এ বিষয়ে জানার জন্য বাঙ্গাবাড়ী আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সাদেরুল ইসলামকে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোমস্তাপুর থানার এস আই অমিত দাস ও তার একটি দল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং একটি রামদা কাতা জব্দ করেন।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব রহমান বলেন, এই সর্ম্পকে শুনেছি কিন্তু কোন অভিযোগ পাইনি। তারা অভিযোগ দিলে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।