• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সমসপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে কোষাগার শূন্য করার অভিযোগ শিক্ষকদের ! শিবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিম বুথ উদ্বোধন করলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসাক এ.কে.এম গালিভ খাঁন নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক নুরুল হক ফনি মাস্টার এর মৃত্যু। নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক নুরুল হক ফনি মাস্টারের মৃত্যু। নাচোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০জনের মনোনায়নপত্র জমা। নাচোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে ৩.ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জনের মনোনয়ন পত্র জমা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিল্লাল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন “ঢাকাস্থ নাচোল উপজেলা সমিতির নাচোলে ঈদ পুনর্মিলনী”

শিবগঞ্জের আনাচে-কানাচে মিলছে রাসায়নিক প্রয়োগকৃত অনুমোদনহীন আইসক্রীম, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা

Reporter Name / ২৩৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

 চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ


 

হাতে গোনা কয়েকদিন গড়ালো ঋতুভেদে বিদায় নিল কনকনে ঠান্ডার আবহাওয়া। ইতিমধ্যেই মৌসুম পরিবর্তনের কারণে বেড়েছে দিনের তাপমাত্রা। যার দরুন দিনজুড়ে অনেকটাই গরমের অনুভূত হচ্ছে। তাই যেন গরমের অনুভূত হওয়াতে অনেকেই দৌড়ে গিয়ে তৃষ্ণা মিটানোর জন্য ছুটে গিয়ে হাতে তুলে নিচ্ছে হিম ঠান্ডা রাসায়নিক প্রয়োগকৃত অনুমোদনহীন বরফ, অনেকেই আবার খাচ্ছে কোমল পানীয়। মৌসুম পরিবর্তনে গরমের ভাব পড়তে না পড়তেই শিবগঞ্জে দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে অনুমোদনহীন বিভিন্ন রাসায়নিক প্রয়োগে তৈরীকৃত আইক্রীমের তৈরী ও বাজারজাতের দৌড়-ঝাপ।

সূত্রে জানা যায়, সাধারণত একটি মানসম্পন্ন আইসক্রীম তৈরীতে দুধ, চিনি, ভেজিটেবল ফ্যাট, কোকোনাট অয়েল, স্ট্যাবিলইজার, ফুড কালার, ফুড ফ্লেবার ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এর বিপরীতে শিবগঞ্জের দাদনচক হাটখোলা (বাজার) এলাকায় বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষন অধিদপ্তর, স্যানেটারি বিভাগ ও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ইতিমধ্যেই জমে তুলেছে রমরমা অবৈধ ব্যবসা। মৌসুম ভিত্তিক এক শ্রেনীর অসাধু আইসক্রীম বিক্রেতা বা প্রতিষ্ঠান এসব অনুমোদনহীন নিন্মমানের আইসক্রীম তৈরী করছে। তাদের উৎপাদিত আইসক্রীমে উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে ঘনচিনি, স্যাকারিন, নিন্মমানের কালার, সুইটিক্স ও ফ্লেভার সহ নানা রাসায়নিক।

উৎপাদিত আইসক্রীমের তালিকায় রয়েছে কুলফি, রোবো, আইসবার, লেমন বা অরেজ্ঞললি, মিষ্টি দই, ক্যাটবেরি সহ হরেক নামের আইসক্রীম। উৎপাদিত আইসক্রীম গুলো আকর্ষনীয় করতে ব্যবহৃত হয় অন্য কোনো কোম্পানির মোড়ক। যা অতি সহজলভ্য উপজেলার বিভিন্ন পাইকারী বাজারে হাত বাড়ালেই মিলছে অনাসায়ে। একেতো নকল মোড়ক তারপর আবার গায়ে নেই উৎপাদন বা মেয়াদর্ত্তীনের তারিখ, নেই ব্যাচ নং বা নির্ধারিত মূল্য।

যে সব উপাদান এসব আইসক্রীমে ব্যবহার করা হয় তা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশুদের অস্থিমজ্জার ক্ষতি হতে পারে। যা শিশুদের মানসিক বিকাশে এ ধরনের রাসায়নিকের প্রয়োগ অত্যন্ত ক্ষতিকর। শিবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা সহ দাদনচক এলাকায় এই ধরেনর একাধিক আইসক্রিম ফ্যাক্টরি রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ ফ্যাক্টরিগুলোর নিজস্ব কোনো নাম নেই। সকলেই চলে বাজার থেকে কিনে আনা মোড়কের ওপর নির্ভর করে।

অভিভাবক সাহিনা বেগম জানান, এই যে গরম পড়া ধরলো আর স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে বাচ্চারা আইসক্রীম কিনে দেওয়ার বাইনা ধরবে। সব সময় তো হাতে টাকা থাকে না যে, নামিদামি কোম্পানীর আইসক্রীম কিনে দেব, তাই বাধ্য হয়ে ৩/৫ টাকার আইসক্রীম কিনে দিতে হয়ে। বিশেষ করে বাচ্চা ললিপপ আইসক্রীম পছন্দ করে, তাই বাধ্য হয়ে কিনে দিতে হয়।
ঐ এলাকার বাসিন্দা মিডিয়া কর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, আইসক্রীম বাচ্চাদের খাওয়ানোই ঠিক না। তবুও বাইনা ধরলে আর কি করা দিতেই হয়। তবে দিলে ভালো মানের আইসক্রীম দেওয়া উচিত। তবে গরম পড়লেই ভেজাল আর নকল আইসক্রীমে সয়লাব হয়ে যায়। যে সকল প্রতিষ্ঠান ভেজাল আইসক্রীম উৎপাদন করে প্রশাসনের উচিত এই সকল প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া। কারণ শিশু খাদ্যের ব্যাপারে কোন আপোষ নেই।

শিশু রোগ ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ ডাঃ জানান, যে কোন আসক্রীমই শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। তারপর যদি আবার রাসায়নিক প্রয়োগ তৈরী করা হয়। এই সকল আইসক্রীম স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সাধন করে। বিশেষ করে শিশুদের অস্থিমজ্জার ক্ষতি হতে পারে। একই সাথে কিডনি ও লিভারের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এতে করে শিশুদের মানসিক বিকাশে চরম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
বিএসটিআই অফিস সূত্রে, অবৈধ এবং গুণগতমানের নিচে কোনো আইসক্রিম তৈরি করলে ভ্রাম্যমাণ অভিযানের মাধ্যমে জরিমানা করে বন্ধ করে দেওয়া হয় অবৈধ কোম্পানী। এমন অভিযোগ পেলে অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষন অধিদপ্তর সুত্র বলেন, আমাদের নিয়মিত ভেজাল পণ্য তৈরির ব্যাপারে অভিযান অব্যহত আছে। ভেজাল ও অনুমোদনহীন ও নোংরা পরিবেশে আইসক্রীম ফ্যাক্টরী সত্যতা মিললে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এম.এস.হোসেন/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!