নিউজ ডেস্কঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে মনিরা আক্তার জুঁই নামে এক গৃহবধু ও নাচোল উপজেলা থেকে সিরাজ উদ্দিন নামে এক দিনমজুরের গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ও সকালে মরদেহ দু’টি উদ্ধার হয়। জুঁই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নসিমপুর এলাকার হাসিবুলের স্ত্রী ও শহরের হরিপুর সাহাপাড়া মহল্লার প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। অপরদিকে সিরাজউদ্দিন নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার জোতমহন গ্রামের মৃত নছের আলীর ছেলে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ওই দু’জন আত্মহত্যা করেছে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক আক্তারুজ্জামান বলেন, দুপুর ১২টার দিকে জুঁই পিতার বাড়ির বাথরুমের ছাদের বাঁশের তীরের সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। এসময় বাড়ির প্রধান দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। এছাড়া শশুর বাড়িতে তার সাথে থাকা স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও কেউ বাড়িতে ছিল না। পরে তারা দেয়াল টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে জুঁইকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। দেড় বছর আগে বিয়ে হওয়া জুঁই শারিরিক সমস্যার কবিরাজি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীণ বলেও জানান উপ-পরিদর্শক আক্তারুজ্জামান।
অন্যদিকে, নাচোল থানার উপ-পরিদর্শক আবু তালেব বলেন, গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নাচোল সদর ইউনিয়নের ইটনা গ্রামের একটি আমবাগানে আগাছের ডালের সাথে সরাজ উদ্দিনের মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছে গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সিরাজ উদ্দিন বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।গতকাল সকালে তারা খবর পায় পাশের নাচোলের ইটনা গ্রামে সিরাজের মরদেহ পাওয়া গেছে। সিরাজ পূর্বে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। গতকাল ভোররাতের দিকে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
এ ঘটনায় নাচোল থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।