মিজানুর রহমান:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় নাশকতা মামলায় বিএনপির এক স্থানীয় নেতা ও ডিস ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন পুঠিয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার (৫ মে) সন্ধ্যার পরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি (সাবেক) ডিস ব্যবসায়ী আলম আলী সরদার। আলম আলী সরদার পুঠিয়া পুঠিয়ার সৈয়দপুর এলাকার আফসার আলী সরদার এর ছেলে। ও বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম- সম্পাদক মোঃ লালন আলী।
জানা যায় যে, গত ২০২২ সালের নভেম্বরে আলম আলী সরদার উপজেলার মোল্লাপাড়া বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্ত বিশ ব্যবসায়ী (কেবল নেটওয়ার্ক) আলম আলী সরদার একাধিক মামলার আসামি বলে জানা গেছে। এছাড়াও এবছরের ঈদুল ফিতরের দিন উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। আর ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সোহানুর রহমান সোহান নামের এক সাংবাদিককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক পা ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর আলম আলী সরদার সহ ওই ঘটনায় মোট আটজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়। ওই সংঘর্ষের সময় এই নাশকতা মামলার আসামি আলম আলী সরদার উস্কানি দেয়, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মদদও রয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী ওই পরিবাররা। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে ডিস ব্যবসায়ী আলম আলী সরদার এলাকায় সমালোচিত।
এদিকে ডিস ব্যবসায়ী আলম আলী সরদারকে তার এলাকার ডিস সংযোগ ব্যবহারকারীদের সাথে খারাপ আচরণ, মনোমালিন্য হওয়া য় এ সংক্রান্ত ধোপাপাড়া ‘কেবল নেটওয়ার্ক সমিতি’র নিকট একটি অভিযোগ আসে উক্ত এলাকার ডিস সংযোগ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের পক্ষ থেকে, ঠিক তার পরিপ্রেক্ষিতে ধোপাপাড়া কেবল নেটওয়ার্ক সমিতি তার ফিড সংযোটি সাময়িকভাবে, বর্তমানে তা বন্ধ করে রেখেছে। বারবার গ্রাহক অসন্তুষ্টির কারণে আলম আলী সরদারের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ধোপাপাড়া কেবল নেটওয়ার্ক সমিতি।
এদিকে আলম আলী সরদার ও লালনের পারিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব ঘটনা গত বছরের এবং মামলাগুলো মিথ্যা। এসকল মামলার এজাহারভূক্ত আসামি নন তারা।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।