রংপুর সংবাদদাতাঃ
রংপুরের পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেনের বিভিন্ন অনিয়ম দূর্ণীতি, ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছে পীরগঞ্জের জনসাধারণের ব্যানারে।
দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে পীরগঞ্জের জনসাধারণের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় । মানববন্ধনে বিএনপি জামায়াতের ভাড়াটে কিছু লোকজন এনে ওসি জাকির হোসেনকে অপদস্ত এবং হেয় প্রতিপন্ন করতেই পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে জন প্রতি ১০০-৩০০ টাকা দিয়ে ভাড়া করে লোকজন এনে মানববন্ধন করেছে এমনটাই বলছেন পীরগঞ্জের সুধীমহল । মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজনের দেয়া একটি বক্তব্য অনলাইন পোর্টালের ফেসবুক পেজে লাইভের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী এক নারীকে বলতে দেখা যায় ,আমাদেরকে ১০০ ট্যাকা দিবার চায়া ডাকি আনি রোদত খাড়া করে থুছে এই রোদত মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অনেকেই জানেননা কি কারণে কার বিরুদ্ধে মানববন্ধন?
অংশগ্রহণকারীরা কেউবা বলছেন- হামাক ডাকি আনি, একশো ট্যাকা দিয়া রইদোত (রোদ) খাড়া করি থুইচে। কেটা ঘুষ খাইছে, না খাইছে তাতে হামার কি? হামাক নাকি চাউলের কাড দিবি, সরকারি ঘর দিবি এ্যাগল্যা কতা কয়া হামাক ডাকি আনছে, এখন দ্যাখোছি কাডও নাই, ঘর কিছুই দিবার নয়। কেটা ঘুষ খাইছে, তার জন্যে হামাক ক্যান রোইদোত খাড়া হয়া থ্যাকপ্যার নাগবি? মানববন্ধনের অংশগ্রহণকারীদের অনেকের কাছ থেকে গোপন সুত্রে জানা যায় যে তাদেরকে তেমন কোনো কিছু না বলেই মানববন্ধনে আসতে বাধ্য করা হয়েছে আবার কাউকে টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে আনা হয়েছে মানববন্ধনে । এখানে এসে দেখি যে ওসির বিপক্ষে নাকি মানববন্ধন । কারা মানববন্ধনে ডেকেছে তারা তাদের নামও জানেনা এবং তাদেরকে কে ডেকে এনেছে নাম বলতেও ভয় পায় এজন্য কারো নাম বলেনি তারা । অনেকেই জানেন না কার বিরুদ্ধে কেনো মানববন্ধন? এ থেকে স্পষ্ট মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অনেকেই বিএনপি জামায়াতের এবং মাদক কারবারিসহ একাধিক মামলার আসামী এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা উক্ত মানববন্ধনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে মনে করছেন পীরগঞ্জের সচেতন নাগরিকরা ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ শে এপ্রিল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওসিকে ফাঁসাতে ৫-৬ মাস পূর্বে ধারণকৃত একটি অর্থ লেনদেন এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ায় এ ঘটনায় জেলা পুলিশ ওসি জাকির হোসেন কে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হলে । এতে পীরগঞ্জবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওসি জাকির হোসেন এর পক্ষে বদলী বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন করে । এরপরে বালু সিন্ডিকেটের সদস্যসহ একাধিক মামলার আসামীরা মাথা চাড়া দিতে থাকে এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে আজ শনিবার পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে পীরগঞ্জের জনসাধারণের ব্যানারে একটি মানববন্ধন করে । মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ও নেতৃত্বদানকারী অনেকেই বর্তমান সরকার ও সরকারি কর্মকর্তাদের হয়রানি করতেই এমন মানববন্ধনের আয়োজন । আবার অনেকেই ওসির বিপক্ষে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনদের টাকা দিয়ে ভাড়া করে এনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করানো হয় । এতে করে পীরগঞ্জবাসী মনে করছেন যে পীরগঞ্জের ভাবমূর্তিসহ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তারা এই পন্থা অবলম্বন করেছেন এমনটাই অভিযোগ সুধীমহলের ।
মানববন্ধনের বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা ও নাশকতা মামলার আসামিসহ বালু সিন্ডিকেটের সদস্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে বেকায়দায় ফেলতে উঠে পড়ে লেগেছে । আমি কোনো ঘুষ লেনদেনের সাথে জড়িত নই। আমাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ।