পলাশ সিকদার, গোপালগঞ্জঃ
গোপালগঞ্জ জেলায় সদর উপজেলার নবীনবাগে বিসমিল্লাহ টাওয়ার এর জমি মালিক ছাড়াই দলিল করে নেওয়ার কাহিনী গোপালগঞ্জের জনগনের সামনে পরিস্কার হয়ে গেছে। জমির মালিক বিদেশে অথচ জমির দলিল হয়ে গেছে অন্যের নামে। ঐ জায়গায় বিশাল আকারের ফ্লাট বাড়ি নির্মান করেছে ওরা।
জানা যায়, ঐ জায়গাতে ৩৬ জন মালিক হয়ে এই বিশাল আকারের বিল্ডিং নির্মান করেছে। সবকিছুই সম্ভব হয়েছে গুপিনাথপুরের আব্দুল মান্নান শরীফের ছেলে নবীনবাগ এলাকার কথিত ভূমি খেক স্বপন শরীফ। এই স্বপন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রভাবশালী পুলিশ অফিসার, সচিব সহ অনেকের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারন মানুষ কে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ উদ্ধার করে। টাওয়ারের নিচ তলায় একটি অফিস রুম করে সেখানেই এদের আড্ডাস্থল করেছে। এই বিসমিল্লাহ টাওয়ার ও এর জায়গার ব্যাপারে গত কিছুদিন পূর্বে গোপালগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ও সম্প্রচারিত দৈনিক যুগের সাথীর এক প্রতিবেদনে সব কিছু স্পস্ট হয়ে যায় । সাবরেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজিসে এই সকল অপকর্ম করে পথে বসিয়েছে অনেককে এই সকল ভুমিখেক দালালেরা ।
গত কছুদিন পূর্বে এই স্বপন শরীফ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পোদ্দারের চর এলাকার কালো শষি বসুর ও তার দুই ভাইয়ের মোট ৪২ কাঠা ভিপি জমি যা তার ভাগ হয়ে পৈতিক সূত্রে কালো বসূর দুই ছেলের নামে ১৪ কাঠা ছিল। সেই জমি এই স্বপনের মাধ্যমে বড় ছেলে অমিয় বসুর নাম কেটে দিয়ে একা শংকর বসুর নামে দলিল করে বিক্রি করার আভিযোগ আছে। জানা যায় এই স্বপন শংকর বসুর কাছ থেকে ৪ কাঠা জমি হাতিয়ে নিয়েছে। এই স্বপন শরীফ নবীনবাগ এলাকায় নানা বিধি আপকর্মের সাথে জড়িত এলাকার কিছু বখাটে ছেলেদের একত্রিত করে প্রতারনা সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে একাধিক। গত কিছুদিন পূর্বে খুলনা থেকে বেড়াতে আসা এক মোবাইল ব্যাবসায়ীকে এলাকার ভিতরে পেয়ে তাকে এই নবীনবাগ সার্কিট হাউজের সামনে বিসমিল্লাহ টাওয়ারের ভিতরে জিম্মি করে টাকা পয়সা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এই ব্যপারে খুলনার সেই মোবাইল ব্যবসায়ী গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ব্যপারটি সদর থানার এস,আই ওবায়দুর রহমান তদন্ত করে।
পরবর্তীতে ব্যপারটি স্থানীয় কমিশনার ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মিমাংসা করা হয়। উড়ে এসে জুড়ে বসা এই সকল পাখিদের কারনে নষ্ট হচ্ছে গোপালগঞ্জের ভাবমূর্তি, নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ । এ ব্যপারে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের একান্ত প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে স্বপন শরীফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিসমিল্লাহ টাওয়ারের ব্যপারে যা মিডিয়া হয়েছে তা সত্য। আমি শুনেছি তরিকুল ইসলাম ভূইয়া নামক এক ব্যবসায়ী এসব করেছে আমি তার নাম শুনেছি, তাকে আমি দেখিনি । এব্যপারে আমি আর কিছুই জানিনা।