নিউজ ডেস্কঃ
গোপিবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় পুড়ে অঙ্গার হওয়া ৪টি মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেলওয়ে থানা পুলিশ লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে করে মর্গে নিয়ে আসে।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান জানান, মরদেহ ৪টি পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে দেখে বুঝা যায় এদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন শিশু এবং বড় চুল দেখে একজনকে নারী হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। বাকি একজন পুরুষ না নারী তা বুঝার উপায় নেই।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতেই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহগুলি মর্গে রাখা হবে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত হবে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে তাদের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করা হবে।
এদিকে ২টি লাশের বিপরীতে তাদের পরিবার দাবি করছেন। এরা হলেন নাতাশা জিয়াসমিন নেকি (২৫) ও এলিনা ইয়াসমিন (৩০) ।
নাতাশার ভাই খোরশীদ আহমেদ জানান, তাদের বাড়ি রাজধানীর গেন্ডারিয়ায়। শুক্রবার সকালে স্বামী আসিফ মোহাম্মদ খান (৩০) ও নাতাশা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গিয়েছিলেন বেড়াতে। রাতে সেখান থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেসে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। আগুনে তার স্বামী আসিফ দগ্ধ হলেও ট্রেন থেকে বের হতে পেরেছেন। তিনি বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। তবে নাতাশা বগিতে পুড়ে মারা গেছেন । নাতাশার বাবার নাম শাকিল আহমেদ। ১ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।
আর মুরাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি দাবি করেন, নিহত ৪ জনের মধ্য তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এলিনা ইয়াসমিন (৩০) আছেন।
তিনি জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এলিনা ও পাঁচ মাসের ছেলে সৈয়দ আরফান, আরফানের মামা ও মামি ছিলেন। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলা থেকে ঢাকায় মিরপুর ৬০ ফিটের বাসায় ফিরছিলেন। তবে আরফানের বাবা সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ঢাকার বাসায় ছিলেন।
তিনি বলেন, আরফানের মামার মাধ্যমে তারা খবর পান, ওই ট্রেনটিতে থাকা আরফান এবং তার মামা-মামি বের হতে পারলেও আরফানের মা এলিনা ট্রেন থেকে বের হতে পারেনি। ধারণা করছেন তিনি ট্রেনের ভিতর পুড়ে মারা গেছেন। তবে এখনও তার লাশ খুঁজে পাচ্ছেন না। যে ৪টি লাশ মর্গে আনা হয়েছে সেখানেই রয়েছে এলিনার লাশ।
স্বজনরা জানান, ১০ দিন আগেই এলিনার বাবা মারা গেছেন। সেজন্য ছেলেকে নিয়ে তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন। আজ সেখান থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন।