বায়ু দূষণের জন্য কুখ্যাত ৯৭ টি শহরের বায়ুর গুণমান সূচকের তথ্য বিশ্লেষণ করে সিপিসিবি জানিয়েছিল, সবচেয়ে বিষাক্ত অবস্থা হরিয়ানা জিন্দ শহরের। নভেম্বরে দিল্লির গড় একিউআই যেখানে ছিল ৪০৭, সেখানে এই শহরের গড় একিউআই ছিল ৪৪৮।
দিওয়ালির পর থেকেই সারা পৃথিবী জুড়ে দিল্লির দূষণ নিয়ে আসোচনার শেষ নেই। ঘন ধোঁয়াশায় ঢাকা রাজধানী এখন গ্যাস চেম্বারের সঙ্গে তুলনীয়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সঙ্গত দিচ্ছে করোনাভাইরাসও। দিন দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু সংখ্যাও। তবে এর থেকেও মারাত্মক তথ্য সামনে এল বুধবার। জানা গিয়েছে, প্যারিস চুক্তির আওতায় থাকা দেশগুলির মধ্যে মোট ১০টি শহরের মধ্যে নয়টিই রয়েছে ভারতের।
এর পিছনে রয়েছে যে যে কারণ থাকতে পারে, তার একটি খসড়া পেশ করেছে ব্যাংক অফ আমেরিকা সিকিওরিটিস। সেখানে বলা হয়েছে , ডিজেলের গ্রহণক্ষমতা কমানো, প্রাকৃতিক গ্যাস বাড়ানো, গঙ্গা নদী পরিস্কার করা ও শক্তি উত্পাদনে আরও দক্ষতা বাড়ানো- এগুলোই দূষণ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। এও বলা হয়েছে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলির মধ্যে শুধুমাত্র বাতাসই দূষিত নয়, তারমধ্যে জল ও শব্দ দূষণেও মাত্রা ছাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বিশ্ব উষ্ণায়ণ প্রতিরোধে ভারত-সহ ১৮৮টি দেশের মধ্যে প্যারিস চুক্তি হয়। ২০১৯ সালে আমেরিকার এই চুক্তি থেকে সরে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্য়ারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে আমেরিকা।
বিশ্ব ব্যাংকের অনুমান অনুসারে, ২০১৩ সালে দূষণের কারণে ভারতের উত্পাদনক্ষমতা ৮.৫% কমেছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায় পরিবেশ নিয়ে দেশে যে যথেষ্ট কাজ হচ্ছে না, তা ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতেই ভারত নিয়ে যথেষট কারণ দেখানো হয়েছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের পরিসংখ্যানটি ৩৩-৩৫শতাংশের মধ্যে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত।
২০১৯ সালেও, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০ শহরের মধ্যে ৭টিই ছিল ভারতে। সবচেয়ে দূষিত গুরুগ্রাম। IQAir AirVisual ও গ্রিনপিসের প্রকাশিত একটি তথ্যে দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সালে দূষিত শহরের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে গুরুগ্রাম। শীর্ষ পাঁচে আরও তিনটি ভারতীয় শহর ছাড়াও রয়েছে পাকিস্তানের ফয়জলাবাদ। দূষিত শীর্ষ ৩০টি শহরের মধ্যে ২২টিই ভারতের। চিনের রয়েছে পাঁচটি, পাকিস্তানের দুটি ও বাংলাদেশের একটি।
সূত্রঃ এইসময়