ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা নদীবেষ্টিত গাইবান্ধার চরাঞ্চলগুলোতে ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। করোনার প্রভাব না পড়লে ভুট্টার ভাল দাম পাবেন বলে বিশ্বাস তাদের।ভুট্টার ফলনে কৃষকের চোখে এখন যেন সোনালী স্বপ্ন। চাষীরা তাদের ‘স্বপ্নের সোনালী ফসল’ ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন।
বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, কোন জমি আর পতিত নেই। যে সব চাষিদের নিজস্ব জমি নেই, তারাও অন্যের জমি লিজ নিয়ে ভুট্টা চাষ করে সচ্ছলভাবে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। ভুট্টা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। তাই চাষিরা অধিক লাভের আশায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। চাষিরা লাভবান হওয়ায় এ অঞ্চলে দিন দিন ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। তাই গত বছরের চেয়ে এ বছর ব্যাপক হারে চাষিরা ভুট্টার চাষ করছেন।
সদর উপজেলার কামারজানির কৃষক আইয়ুব আলী ও রিয়াজউদ্দিন জানান, তারা প্রতেকেই দুই বিঘা করে ভুট্টা চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও ভালই হয়েছে। তাদের প্রতি বিঘায় ভুট্টা চাষ করতে খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। তাই তারা বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ মন ভুট্টা পাবেন বলে আশা করছেন। এতে ১৮-২৫ হাজার টাকা বিঘাপ্রতি পাবেন বলে আশা করছেন তারা।
ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম ১০ বিঘা ভুট্টা চাষ করেছেন। নিজের জমির পাশাপাশি অন্যের জমি চুক্তি নিয়েও ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি। এ বছরও ভুট্টার চাষ করে বাম্পার ফলন হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ বছর গাইবান্ধা জেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে । কৃষি ফসল হিসাবে ভুট্টা খুবই লাভজনক। চরাঞ্চলে এই ফসলের চাষ দিন দিন বাড়ছে। এই চাষে সরকারিভাবে কৃষকদের প্রণোদনা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে কাজ করছেন।