• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কোটালীপাড়া বজ্রপাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত গোমস্তাপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফন সম্পন্ন ঝিনাইদ সীমান্ত থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩ পিস স্বর্ণের বারসহ আপন দুই ভাইকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি নাচোল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু পুলিশের হাতে গ্রেফতার! গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃ’ত্যু গোপালগঞ্জে আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪ পালিত নাচোলে জাতীয় আইন গত সহায়তা দিবস-২৪ পালিত গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় এসির তার চুরির ৩ ঘন্টার মধ্যে চোরকে আটক করে মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত

সাপাহারে ড্রাগন ফল চাষে নতুন সম্ভাবনা

Reporter Name / ২০৮ Time View
Update : বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

মনিরুল ইসলাম,সাপাহার(নওগাঁ)প্রতিনিধি:
বিস্তীর্ন মাঠ! চোখ ফেরাতেই দৃষ্টি কাড়ে উঁচু হয়ে থাকা ড্রাগন গাছ। বিস্তীর্ন লতার মতো ঝুলছে ড্রাগণ গাছের ডালপালাগুলো। এ যেন দৃষ্টিনন্দন এক পরিদর্শন পার্ক। নওগাঁর সাপাহারে ব্যতিক্রমী উদ্যেগ নিয়ে চাষ করা হচ্ছে ড্রাগন ফল। যাতে করে একদিকে বেড়েছে বেকারের কর্ম সংস্থান অপরদিকে অধিক মুনাফা আশা করছেন এলাকার ড্রাগন চাষীরা।
উপজেলার সীমান্তঘেঁষা হাঁপানিয়া এলাকায় চাষকৃত ড্রাগন বাগান মালিক প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে প্রথমে ভিয়েতনামী পদ্ধতিতে ১০ বিঘা জমিতে তিনি ড্রাগনের চাষ করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আরো ৫ বিঘা জমিতে তাইওয়ান পদ্ধতিতে চাষ ড্রাগন ফল চাষ করেন। বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা ও দাম ভালো থাকার ফলে তিনি ভালো ফলন ও অধিক মুনাফা আশা করছেন।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে এই ড্রাগন ফল। এটি আন্তর্জাতিক মানের ফল হওয়ায় অধিক মুনাফা আশা করছেন ড্রাগনচাষীরা। প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি বিঘায় প্রায় আনুমানিক সাড়ে ৯/১০ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রয় করা যাবে বলে আশা করছেন চাষীরা। ড্রাগন ফলের চারা দেশে উৎপাদন না হবার ফলে দেশের বাইরে থেকে চারা এনে রোপন করতে হয়। যার ফলে যেমন ব্যায়বহুল খরচ হয় তেমনি সঠিকভাবে উৎপাদন করা গেলে অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব বলে জানান চাষীরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ১৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। ড্রাগন চাষের জন্য পুকুরের পাড় বা উঁচু জাতীয় জমির প্রয়োজন । যে জমিতে পানি নিষ্কাশন অতিশীঘ্রই হয় এমন জমি ড্রাগন চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ড্রাগন চাষে কৃষি অফিস থেকে চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণ ও সকল ধরণের পরামর্শ সহ সার্বিক সহযোগীতা অব্যহত রয়েছে বলে জানান উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান সেলেম।

বর্তমানে এ উপজেলায় ড্রাগন ফল চাষে একটি নতুন সম্ভাবনার আশা দেখছেন এলাকার চাষীরা। ড্রাগন ফল উৎপাদনের জন্য এ অঞ্চলের মাটি অনুকূলে থাকায় পরবর্তীতে অনেক চাষী ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হতে পারে বলে ধারণা করছেন ড্রাগনচাষী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!