সরকারপ্রতি বছর রাজস্ব হারাচ্ছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা
স্বরূপকাঠীর বলদিয়ায় খেয়াঘাট ইজারায় নামমাত্র মূল্য দেখিয়ে হরিলুটের অভিযোগ
স্বরূপকাঠী প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুর নেছারাবাদ স্বরূপকাঠী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের জিরবাড়ি কলারদোয়ানিয়া খেয়াঘাট ইজারা প্রায় ৪লাখ টাকা হলেও কাগজে কলমে মাত্র সাড়ে ১৪ হাজার টাকা দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নস্যাতের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতার অভিযোগ, চৈত্র মাসের শেষ দিকেই ডুবি, বিন্নাসহ বিভিন্ন গ্রামের ককিলদের আনাগোনায় ভরে যায় খেয়াঘাট নেতার যেন শেষ থাকেনা মধু নিয়ে বৈশাখেই আবার বিলীন হয়ে যায় তারা।
তিনি আরও জানান, বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ জিলবাড়ি ঘাটে বসে প্রতি বছর সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকায় এ ঘাটটি ইজারা দিলেও কাগজে কলমে উল্লেখ করা হয় মাত্র সাড়ে চৌদ্দ হাজার টাকা। একই খেয়াঘাটের সাবেক দুই ইজারাদার অভিযোগ করেন, বিগত দিনে আমরা এ ঘাট সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় ইজারা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রশিদ পেয়েছি মাত্র চৌদ্দ হাজার টাকার। এখানে বাকি টাকাগুলো চেয়ারম্যান স্থাণীও কতিপয় নেতাদের দিয়ে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে স্বার্থ হাসিল করছেন। মিঠু বাহাদুর অভিযোগ করেন, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন কিন্তু আজ পহেলা বৈশাখেও কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে আগের মতই চলছে ইজারার নামে চেয়ারম্যান নেতাদের চাঁদাবাজী। এব্যাপারে ইজারাদার মন্টু জানায়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মহব্বত হোসেনের নির্দেশেই তিনি(মন্টু) ঘাট পরিটালনা করছেন।
এসময় মিঠু বাহাদুল বলেন, এই ঘাট আমি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিব এক বছরের জন্য। এবিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ জানান, ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় মূলত বিশ হাজারের অধিক মূল্যের কোন খেয়াঘাটের ইজারা দেয়ার সুযোগ নাই। বর্তমান খেয়া চালকের প্রতি দুই ইউনিয়নের লোকজন সন্তুষ্ট নতিন করে ইজারা হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকেই রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, ডিসি স্যারের চিঠি পেয়েছি চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করেছি বিষয়টি সমাধাণ করা হবে।