মোঃরিফাতুন্নবী রিফাত: সোলার প্যানেল ব্যাবহারে কম খরচে সেচ-সুবিধা পাচ্ছে গাইবান্ধা জেলার কৃষকেরা।কৃষিতে সেচের জন্য ডিজেলের পরিবর্তে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছিল কৃষকরা,আর বিদ্যুৎ বিভ্রান্তের কারণে জমিতে সেচ দেওয়া দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো এ জেলার কৃষকদের।অনেক সময় সেচ দিতে না পেরে,জমিতেই নষ্ট হয়ে যেত ফসল।ধার-দেনা করে ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে বেড়ে যেত কৃষকদের লোকসানের বোঝা।কালের বিবর্তনে আধুনিক হয়েছে সব কিছু।দেশের বৈদ্যাুতিক ব্যাবস্থার আধুনিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাবহার বেড়েছে সোলার প্যানেলের। বাড়তি খরচ না থাকায় সোলারের দিকে আগ্রহ কৃষকদের।
জেলা কৃষি বিভাগের সূত্রমতে,চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় ১লক্ষ ২৫হাজার হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।সোলার প্যানেলের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।সেই সঙ্গে তাদের উৎপাদনের খরচ কমে গেছে। ফলে বোরো ধান বিক্রি করে অনেকেই লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এ জেলার কৃষকরা।
তারা জানান,সোলার প্যানেল ৩৬টি সাহায্য ৪০বিঘা জমিতে সেচ দিচ্ছেন,এবং এ সেচ শুধু থাকবে সূর্যদোয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যান্ত,যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্যের কিরণ দিবে।এছাড়া এখানে কোনো বাড়তি লোকের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু যখন শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিতাম তখন বাড়তি লোক লাগতো,খরচও বেশি হতো।এখন আমরা সোলারের মাধ্যমে জমিতে ভালো ভাবেই সেচ দিচ্ছি।