গোমস্তাপুরে ব্রি ধান ৮১ কর্তন ও কৃষক সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক গোমস্তাপুর :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন খাদ্য নিরাপত্তায় অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ছে,অন্যদিকে নানা কারণে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমছে। রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তণে বিরূপ প্রভাবও। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইতিমধ্যে ফসলের অনেক অনেক জাত ও চাষাবাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। ফলে,ক্রমশ জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকবেলা করা সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকে মাঠে ব্রি ৮১ জাতের ধান কাটা হচ্ছে। এর ফলন ভাল। বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩১ মণ। এটি জনপ্রিয় ব্রি ২৮ জাতের মতো। ব্রি ২৮ দীর্ঘদিন ধরে চাষ হচ্ছে কিন্তু উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সেজন্য এ নতুন ব্রি ৮১ জাতটি কৃষক পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণের উদ্যেগে গ্রহণ করা হয়েছে। চাষিরাও এটি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অচিরেই ব্রি ধান ৮১ জনপ্রিয়তা ব্রি ধান ২৮ এর মত হবে। এ উচ্চ ফলনশীল জাতটি চাষের মাধ্যেমে ধান উৎপাদন উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং দেশের খাদ্যনিরাপত্তায় এটি আশানুরূপ ভূমিকা রাখবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চঁাাপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভার চিনিয়াতলায় মহল্লার মাঠে ব্রি ধান ৮১ জাতের ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকার কৃষিতে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সরকার অত্যান্ত উদারভাবে কৃষকদেরকে বিভিন্ন প্রণোদনা ও গবেষণা অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক গবেষণাগারে তৈরি,প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রদান ও বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণার ওপর গুরুত্ব প্রদান অব্যাহত থাকবে। যাতে করে ভবিষ্যাতেও সকল চালেঞ্জ মোকাবেলা করে খাদ্য উদপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যা নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.মোঃ শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্ব আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। বক্তব্য রাখেন,চঁাপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, বিএআরসি ঢাকার নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান ও গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও কামরুল ইসলাম প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাস, ডিএই ঢাকার মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ, বিএডিসি ঢাকার চেয়ারম্যান ডঃ অমিতাভ সরকার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, চঁাপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ ও পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব , সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি, রাজশাহী বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ডঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বদিউজ্জামান বাদশা, রাজশাহী অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমসহ অন্যান্য ফল রপ্তানির জন্য বিদেশ থেকে ‘ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট’ মেশিন আনার প্রক্রিয়া চলছে। যার মাধ্যমে পোকা-মাকড় দমনসহ বাংলাদেশের আম বিদেশে রপ্তানি শুরু হবে এবং সেটি বর্তমান সরকারের আমলেই হবে বলে জানান মন্ত্রী।’
এদিকে, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে হেফাজতের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন,‘ যারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের মূলোৎপাটন বাংলাদেশ থেকে করা হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট এবং তাদের বিচার হবে বাংলার মাটিতে।
পরে চঁাপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষনা কেন্দ্রে জেলার আমচাষীদের সাথে মতবনিমিয় করেন।