নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড নেসকো গাইবান্ধা-১ এর স্টোর থেকে যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক তার খোয়া গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি মঙ্গলবার (৮ জুন) সকালে সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন রংপুর নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন সরকার।
গাইবান্ধার স্টোর থেকে মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক তার খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানতে সোমবার দুপুরে নেসকো লিমিটেড গাইবান্ধা, বিতরণ বিভাগ-১ কার্যালয়ে যায় সময় সংবাদ। এ সময় স্টোরের ইনচার্জ আরিফ হোসেনের সঙ্গে পর পর দুবার কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে সময় সংবাদের ক্যামেরা ধাক্কা দিয়ে স্যারের সঙ্গে কথা বলেন বলে চলে যান।
এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে এলোমেলো কথা বলেন নেসকো লিমিটেড গাইবান্ধা বিতরণ বিভাগ -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মন্নাফ। তিনি বলেন, স্টোর থেকে কোনো মালামাল চুরি হয়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় কী পেয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্দেহ হয়েছে।
কেন, কী সন্দেহ করছেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, তারা কথা বলবেন। আপনার স্টোরে সব মালামাল ঠিকঠাক আছে কি না-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি সরেজমিন পরিদর্শনের পর সব বলা যাবে।
শ্রমিক নেতা খাইরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, অফিসের স্টোর থেকে মালামাল খোয়া যাওয়ার ঘটনা প্রায় লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। তার দাবি, যা রটে তা কিছুটা বটে।
তিনি বলেন, গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা দরকার। তদন্ত করলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
মঙ্গলবার সকালে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রংপুর নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন সরকার সময় সংবাদকে বলেন, স্টোরের মালামালের গড়মিলের তথ্য জানার পরপরই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া তারসহ বিভিন্ন মালামালের সঙ্গে বের করা হয় অতিরিক্ত মালামাল।
সূত্র : সময় নিউজ