মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: আমের বানিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার। ইতিমধ্যে আম উৎপাদন ও বিপননে সারাদেশে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে এই উপজেলা। যার ফলস্বরূপ সাপাহারের সিংহভাগ চাষী আম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আমের উৎপাদন ও বাজারদর ভালো থাকায় ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন আমচাষীরা। সম্প্রতিকালে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বর্তমানে অনলাইন ব্যাবসায় ঝুঁকে পড়েছেন এলাকার তরুণ, যুবক উদ্যক্তারা। গত ২৫ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে আম সংগ্রহের শুভ উদ্বোধনের পর থেকেই অনলাইন আম ব্যাবসার প্রতি আগ্রহ দেখা গেছে ব্যাবসায়ীদের মধ্যে। অনলাইনে আম ব্যবসা এই উপজেলায় একটি নতুন চমক সৃষ্টি করেছে।
বর্তমানে এই উপজেলায় সকলের ছোট বা বড় আমবাগান রয়েছে। কারো নিজের বাগান না থাকলেও আত্মীয় স্বজনদের রয়েছে আমবাগান। যাতে করে নিজে একটু সাবলম্বী হবার জন্য মোটামোটি সকলেই অনলাইন আম ব্যাবসার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুললেই চোখে পড়বে সাপাহারের আম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর বিজ্ঞাপন। কে নেই এই পেশায়! ছাত্র, শিক্ষক, সাধারণ আমচাষী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অনলাইনে আম ব্যাবসার প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। সফলতার সাথে আম প্যাকেটজাত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন অনলাইন ব্যবসায়ীরা।
অনলাইনে আম ব্যাবসা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে উপজেলা সদরের বিভিন্ন মার্কেটে দেখা যাচ্ছে কুরিয়ার ও পার্সেলের সাইনবোর্ড। সারা বছর এসব কুরিয়ারের দেখা না মিললেও ঠিক আম মৌসুমে এদের প্রভাব লক্ষ্য করার মতো!
অনলাইন আম ব্যাবসায়ী “আমের হাট,সাপাহার” এর স্বত্বাধিকারী আবু বক্কার জানান, এই এলাকার কার্বাইড মুক্ত আম আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শতভাগ নিশ্চয়তা ও বিশ্বস্থতার সাথে পাঠাই। আমরা একদম বাগান থেকে আম পেড়ে প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারে দিয়ে থাকি যাতে করে আমের মান ও স্বাদ অপরিবর্তিত থাকে। আর এজন্যই আমাদের প্রতি অনেকে আস্থা রেখে অনলাইনের মাধ্যমে আম অর্ডার করেন।”
অনলাইনে আম অন্যান্য আম ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, অন্যান্য বছর বন্ধু-বান্ধবদের কাছে কুরিয়ারের মাধ্যমে আম পাঠানো হয়েছে। এভাবে যদি ফাঁকা সময়কে কাজে লাগিয়ে অনলাএন ব্যবসা করা যায় তাহলে একদিকে যেমন বাগানের আম বিক্রয় হবে অন্য দিকে কিছু টাকা রোজগার হবে যার জন্য এমন উদ্যেগ নিয়েছেন তারা।
এ পর্যন্ত এই উপজেলায় অনলাইন আম ব্যাবসায়ীর সংখ্যা সঠিক জানা না গেলেও প্রায় শতাধিক ব্যাবসায়ী এ ব্যাবসার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে জানান একটি মহল। এই উপজেলার আম তৃণমুল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনলাইন আম ব্যবসায়ীদের সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।