মনিরুল ইসলাম, সাপাহার, (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর সবচেয়ে বড় আমের হাট সাপাহারে ক্রেতা নেই। বাইরের ক্রেতা না আসায় আমের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা।
সরেজমিনে আমবাজারে দেখা যায়, জ্যৈষ্ঠের প্রখর রোদে ভ্যানের ওপর আম রেখে মাথায় গামছা জড়িয়ে পাশে দাঁড়িয়ে আছেন আমচাষি হোসেন আলী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম থেকে উপজেলা সদরের আমবাজারে এসেছেন। বেলা ৩টা বেজে গেলেও বিক্রি করতে পারেননি কোনো আম। একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছিলেন তিনি।
হোসেন আলী জানান, ভ্যানে করে ৬ মণ ক্ষীরশাপাত ও ৩ মণ গুটি আম নিয়ে বাজারে এসেছেন। ক্ষীরশাপাত আমের দাম ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা মণ রাখলেও ক্রেতারা দাম হাঁকছেন ১০০০ টাকা। অবশেষে ৩টার পর ১১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন আম।
দাম কম কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজারে আমের আমদানি বেশি। সে তুলনায় ব্যবসায়ীরা কম এসেছেন। ক্রেতা কম থাকায় আমের দামও তুলনামূলক কম।
সাপাহার উপজেলায় রয়েছে ৯ হাজার হেক্টর আমবাগান। আমবাগানকে কেন্দ্র করে সাপাহার উপজেলা সদরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমের বাজার গড়ে উঠেছে। যেখানে প্রায় দেড় শতাধিক আমের আড়ত রয়েছে। যেখানে চালু রয়েছে প্রায় ১০০টির মতো আড়ত।
সাপাহার আমবাজার গুণগত মানভেদে প্রতিমণ গোপালভোগ ১ হাজার থেকে ১৪৫০ টাকায়, ক্ষীরশাপাত প্রতি মণ ১১৫০ থেকে ১৪০০ টাকায় ও নাকফজলি বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গুটি আম বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেক ৭০০ টাকা দরে।
আম বিক্রেতা এক ব্যক্তি জানান, এ বছর শ্রমিকদের মজুরি, সার ও কীটনাশক বেশি দিতে হয়েছে। ফলে আম উৎপাদনে খরচ বেশি হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বাজারে না আসা পর্যন্ত আমরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হব।
সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের এ অঞ্চল আম্রপালির জন্য বিখ্যাত। এই জাতের আম উঠতে বেশ কিছুদিন বাঁকী আছে। আমরা মনে করি আম্রপালি বাজারে আসলে বাজারে ক্রেতা সংখ্যা পর্যাপ্ত হারে বাড়বে।
সাপাহারের আম আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কার্তিক সাহা বলেন, এ উপজেলায় আমের মূল ব্যবসায়ীরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট ও ভোলাহাট উপজেলার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আসতে পারছেন না। আবার আড়তে কাজ করতে আসা শ্রমিকদেরও করোনার পরীক্ষা করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে যে কয়েকটি আমের মোকাম রয়েছে, সবগুলোয় একই সঙ্গে আমবাজারে উঠেছে ও মোকামগুলো চালু হয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা এখনো আসা শুরু করেননি বাজারে। বাজারে আম বেশি থাকলেও ক্রেতা কম রয়েছে। ফলে চাষিরা দাম পাচ্ছেন না।
মনিরুল ইসলাম, সাপাহার, (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর সবচেয়ে বড় আমের হাট সাপাহারে ক্রেতা নেই। বাইরের ক্রেতা না আসায় আমের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা।
সরেজমিনে আমবাজারে দেখা যায়, জ্যৈষ্ঠের প্রখর রোদে ভ্যানের ওপর আম রেখে মাথায় গামছা জড়িয়ে পাশে দাঁড়িয়ে আছেন আমচাষি হোসেন আলী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম থেকে উপজেলা সদরের আমবাজারে এসেছেন। বেলা ৩টা বেজে গেলেও বিক্রি করতে পারেননি কোনো আম। একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছিলেন তিনি।
হোসেন আলী জানান, ভ্যানে করে ৬ মণ ক্ষীরশাপাত ও ৩ মণ গুটি আম নিয়ে বাজারে এসেছেন। ক্ষীরশাপাত আমের দাম ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা মণ রাখলেও ক্রেতারা দাম হাঁকছেন ১০০০ টাকা। অবশেষে ৩টার পর ১১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন আম।
দাম কম কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজারে আমের আমদানি বেশি। সে তুলনায় ব্যবসায়ীরা কম এসেছেন। ক্রেতা কম থাকায় আমের দামও তুলনামূলক কম।
সাপাহার উপজেলায় রয়েছে ৯ হাজার হেক্টর আমবাগান। আমবাগানকে কেন্দ্র করে সাপাহার উপজেলা সদরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমের বাজার গড়ে উঠেছে। যেখানে প্রায় দেড় শতাধিক আমের আড়ত রয়েছে। যেখানে চালু রয়েছে প্রায় ১০০টির মতো আড়ত।
সাপাহার আমবাজার গুণগত মানভেদে প্রতিমণ গোপালভোগ ১ হাজার থেকে ১৪৫০ টাকায়, ক্ষীরশাপাত প্রতি মণ ১১৫০ থেকে ১৪০০ টাকায় ও নাকফজলি বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গুটি আম বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেক ৭০০ টাকা দরে।
আম বিক্রেতা এক ব্যক্তি জানান, এ বছর শ্রমিকদের মজুরি, সার ও কীটনাশক বেশি দিতে হয়েছে। ফলে আম উৎপাদনে খরচ বেশি হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বাজারে না আসা পর্যন্ত আমরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হব।
সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের এ অঞ্চল আম্রপালির জন্য বিখ্যাত। এই জাতের আম উঠতে বেশ কিছুদিন বাঁকী আছে। আমরা মনে করি আম্রপালি বাজারে আসলে বাজারে ক্রেতা সংখ্যা পর্যাপ্ত হারে বাড়বে।
সাপাহারের আম আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কার্তিক সাহা বলেন, এ উপজেলায় আমের মূল ব্যবসায়ীরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট ও ভোলাহাট উপজেলার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আসতে পারছেন না। আবার আড়তে কাজ করতে আসা শ্রমিকদেরও করোনার পরীক্ষা করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে যে কয়েকটি আমের মোকাম রয়েছে, সবগুলোয় একই সঙ্গে আমবাজারে উঠেছে ও মোকামগুলো চালু হয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা এখনো আসা শুরু করেননি বাজারে। বাজারে আম বেশি থাকলেও ক্রেতা কম রয়েছে। ফলে চাষিরা দাম পাচ্ছেন না।