বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয় পাবনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন বলেন, খাদ্য চাহিদা পূরণের চ্যালেঞ্জ মোবাকাবেলা করতে হলে মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রাখা ছাড়া উপায় নেই। মাটি ব্যবস্থাপনা ছাড়া চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা অসম্ভব। মাটি, প্রযুক্তি, বায়োটেকনলজি ব্যবহার করতে হবে। মাটিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে সার না দিলে উৎপাদনে বিপর্যয় অনিবার্য। ফসলি জমিতে পরিমাণ মতো সারের ব্যবহার করতে হবে। ক্ষতিকর সার ব্যবহার করার জন্য মানব স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে আপনারা যা শিখলেন সেটি মাঠ পর্যায়ে কাজে লাগান। প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিন।
সোমবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে তিন দিনের প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের এএসএমএসসিপি শীর্ষক কর্মসূচির অর্থায়নে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয় পাবনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় কার্যালয় রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নূরুল ইসলাম। শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ ও সার সুপারিশ কার্ড তুলে দেন অতিথিরা।