প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে, ৩ লক্ষাধিক টাকার চুরি, দোকানের মালামাল ভাঙচুর।
গোমস্তাপুর( চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সন্তোষপুর থেকে মটরসাইকেলে এসে বাঙ্গাবাড়ী বাজারে গোলাম মোর্তুজা দোকানে ঢুকে হঠাৎ তাকে মারধোর করে, দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। গোলাম মোর্তুজার মুখ থেকে জানা যায়, তারা ১৫/২০ জন ছিল এবং তাদের হাতের রড ছিল। তারা চার–পাঁচ জন আমাকে হাত দিয়ে, পা দিয়ে ,রড দিয়ে মেরেছে। তারা আমার দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে টাকা লুট করেছে।
গোলাম মর্তুজা বলেন, আমি ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং এর এজেন্ট । ব্যাংকের পাশে আমার নিজের দোকানও রয়েছে।
গত 8 /11/ 21 তারিখ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার সময় ব্যাংক এশিয়ার সি এস ও ইসমাইল হোসেন, প্রতিদিনের মত ব্যাংকের সারাদিনের লেনদেনের অবশিষ্ট 3 লক্ষ 31 হাজার 20 টাকা আমার দোকানে বুঝিয়ে দিয়ে যায়। আমি আমার দোকানের বিক্রির কাজে নিয়োজিত থাকি । তার কিছুক্ষণ পর প্রায় সাড়ে সাতটার সময়, আমার নিজের দোকানে অবস্থানকালে পূর্বের শত্রুতার কারণে,১) সোহাগ আলী(২৩), পিতা- সাইদুর রহমান,২) কাজিরুল(২৬), পিতা -কাবিল হোসেন, ৩) সুমন আলী(২৮) পিতা -মৃত আবুল হোসেন, ৪) মামুন(২৬) পিতা- কালু, ৫) শেখব (২৭) পিতা- কয়েস উদ্দিন, সর্ব সাং সন্তোষপুর, থানা: গোমস্তাপুর ,জেলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ। অজ্ঞাত আরো 8 থেকে 10 জন দলবদ্ধভাবে লোহার রড বাঁশের লাঠি ইত্যাদি নিয়ে আমার দোকানে ঢুকে আমার ওপর আক্রমণ করে। আমার শার্টের কলার ধরে কিল ঘুষি লাথি মারে দোকানের ক্যাশ হইতে টানাহেঁচড়া করে বাইরে নিয়ে আসে। 5 নম্বর বিবাদী শেখব আমার ক্যাসবাক্সের ব্যাংক এশিয়ার নগদ ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ২০ টাকা চুরি করে। তাদের কয়েকজন আমার দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে প্রায় ৫০০০ টাকার ক্ষতি করে। কজিরুল আলী তার মাপলার দিয়ে আমার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে । এবং তারা বিভিন্ন প্রকার ভয় দেই এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যাই।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস বলেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে , মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।