তহিদুল ইসলাম রাসেল, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানঃ
ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে।
আজ সোমবার (১৪ মার্চ) বেলা ১২টা ১০ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইট তার মরদেহ নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
এর আগে, শনিবার রাতে রোমানিয়ায় থেকে নাবিক হাদিসুরের মরদেহ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু তুরস্কে ঘন তুষারপাতের সেদিন আর ঢাকায় যাত্রা করেনি। কার্গো ফ্লাইটটি বাতিল হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াত হোসাইন।
তিনি বলেন, রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দরে তুষারপাতের কারণে বাতিল হয় পূর্বনির্ধারিত ফ্লাইট। তার্কিশ এয়ারলাইন্সের পরিবর্তিত ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে আজ সোমবার দুপুরে নিহতের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। লাশ এখনো বিমানবন্দরে আছে। সেখান থেকে সরাসরি বরগুনা নিহতের গ্রামের বাড়িতে নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২ মার্চ) রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। তবে জাহাজে থাকা বাকি ২৮ জনকে পরের দিন বৃহস্পতিবার অক্ষত অবস্থায় সরিয়ে নেয়া হয় বলে জানিয়েছিল বিএসসি।
এরপর হাদিসুরের লাশ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিকদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের সহযোগিতায় গত শনিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুরে ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউজ) থেকে বেরিয়ে মালদোভার পথে যাত্রা শুরু করেন ২৮ নাবিক। পরের দিন রোববার ৬ মার্চ বেলা ১১টার দিকে তারা ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মালদোভা হয়ে রোমানিয়া পৌঁছান।
গত বুধবার (৯ মার্চ) ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে দেশে ফেরেন।