চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে কেমিক্যাল বিস্ফোরনে আগুনের ঘটনায় এযাবত নিহত ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এর মধ্যে ফায়ার কর্মী রযেছে ৬ জন। । সেখানে বিস্ফোরণে দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ত্রিশশটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টায় সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কাসেম জানান, বিস্ফোরণে কন্টেইনার ডিপোর আশপাশের ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক কম্পনের সৃষ্টি হয়। মসজিদ ও আশপাশের শতাধিক ঘরবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। আশপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক আশেক জানান, ‘সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আহত এপর্যন্ত ২০০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। ’
ফায়ার সার্ভিসের মহা পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাঈনউদ্দিন জানায়, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোট এখন ৩০ টি ইউনিট কাজ করছে।আগুন নিভাতে গিয়ে আমাদের কর্মী ২০ জন গুরুত্বর আহত হযেছে নিহত হযেছে ৬ জন। পাবলিক বা শ্রমিক নিহতের সংখ্যা ২৩ জন তবে আরো বাড়তে পারে এখনো সবগুলো উদ্ধার করা যায়নি।আগুন নেভাতে আরও কয়েকটি ইউনিটের গাড়ি ঘটনাস্থলের দিকে আসতেছে।
কনটেইনার ডিপোতে আমদানি ও রপ্তানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার আছে বলে জানা গেছে।তবে কেমিক্যাল গুলো মারাত্বক, আগুন নিয়নত্রনে আনতে সময় লাগবে,বিস্ফোরন বিষয়ক ল্যাপ্টেনেন্ট কর্নেল মনিরা কাজ করছে তার টিম।
স্থানীয় জহির, কাসেম,মনির দিদার সহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণে দুই শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একপুলিশ এক আনসার সহ কেউ দগ্ধ, কেউ মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন।
জানা গেছে, শনিবার রাত ১১টার দিকে ভাটিয়ারি ইউনিয়নের কাশেম জুট মিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনার পর থেকে এযাবত ৩০ টি ইউনিট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে কাজ করছে।রাত ১১ টায় এ সময়ই সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় পুরো ডিপুটি তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং কন্টেইনারের টুকরো মানুষের গায়ে পড়ে আহত নিহত হয়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, কনটেইনার ডিপোটিতে রপ্তানী পন্য মজুত রাখাছিল।
বর্তমানে ডিপুটি মৃর্ত্যুপুরীতে পরিনত হযেছে,চারিদিকে বিধ্বস্হ কন্টেইনার আরমৃত লাশ,বিস্ফোরনের ভয়ে কাছে যাওয়া যাচ্ছেনা।আগুন নিভাতে সেনাবাহিনী,ফাযারসার্ভিসের ৩০ টি ইউনিট,নৌবাহিনী,পুলিশ,আনসার, কাজ করছে,লাশ উদ্ধারে বাংলাদেশ গাউছিয়া কমিটি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি,পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।