জোহরুল ইসলাম জোহির,নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে দায়সারাভাবে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন করে মোটা অঙ্কের টাকা পকেট¯ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.ইয়ামিন আলীর বিরুদ্ধে।বিগত বছরের প্রদর্শনী অপেক্ষা এ বছরের প্রদর্শনী মানসম্মত না হওয়ায় প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া প্রাণীর মালিক এবং সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খামারিরা।
জানাগেছে, প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার নামে সরকারি ভাবে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইয়ামিন আলী সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পছন্দের খামারিদের নামমাত্র ৩৬ টি স্টল দিয়ে দায়সারাভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছেন। এরমধ্যে গরু-ছাগলের স্টল ছিল ৮-১০টি। প্রদর্শনী মেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রদর্শনীতে খামারিরা তাদের পশু গাড়ি দিয়ে মাঠে নিয়ে আসার কথা থাকলেও বেশির ভাগ পশুকে খামারিরা তীব্র রোদে পায়ে হেঁটে প্রদর্শনী মাঠে নিয়ে আসেন। মাঠে পৌঁছালে খামারিদের অনেক পশুর মাথায় পানি ঢালতে দেখা গেছে।অথচ প্রদর্শনী মাঠে পশুর যাতায়াত বাবদ সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা।অতিথি আপ্যায়নে এলডিডিপি প্রকল্পের সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮০ হাজার টাকা।খাবারের প্যাকেটও করা হয়েছে বরাদ্দের তুলনায় অনেক কম।মেলায় আগত ভিআইপি আপ্যায়নের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থেকে গণখাবারের প্যাকেট দিয়ে আপ্যায়ন সেরেছেন প্রাণিসম্পদ অফিস।খামারিসহ উপ¯িতিদের খাবারের জন্য বরাদ্দ পায় ৬০ হাজার টাকা।খাবারের টাকা সম্পূর্ণ খরচ না করেই নিজের পকেট ভারি করেছেন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা।এছাড়া প্রদর্শনীর জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার জন্য বরাদ্ধ থাকলেও প্রদর্শনীর জন্য করা হয়নি কোনো মাইকিং বা প্রচার-প্রচারণা।উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যলয়ের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশে অভিযোগ করে বলেন মাত্র ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করেই প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা সম্পূর্ণ করেছেন কর্মকর্তা।বাকি টাকা কর্মকর্তার পকেটে রয়েছে।মেলায় পশু প্রদর্শনের জন্য সরকারিভাবে পুরস্কারের জন্য ৩ জনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার কথা থাকলেও খামারি রুস্তম আলী কে প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা।প্লাস্টিকের মগ, থালা দিয়ে অন্যান্য সান্তনা পুরস্কার দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামারিদের।
অভিযোগকারি গাভী খামারি আরিফ হোসেন মিজান বলেন,প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার যোগসাজশে অফিসের বাবু এবং মিলন পছন্দের লোক দিয়ে প্রদর্শনী মেলা সম্পন্ন করেছেন।প্রদর্শনী মেলার টাকা ও লোপাট করেছেন।সঠিক তদন্তের জন্য আমরা ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি।এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.ইয়ামিন আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এবিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই।এবিষয়ে নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলূফা খাতুন সরকার বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যব¯া গ্রহন করা হবে।