• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফুলকুঁড়ি স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো আন্তঃশ্রেণী বিতর্ক প্রতিযোগিতা – ২০২৪ নাচোলে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠিত মহেশপুরে ড্রাগন চাষী মিলনের ২৬শ’ ড্রাগন গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা কোটালীপাড়া জোর পূর্বক ৭০ বিঘা ঘের তৈরি নাচোলে বিশ্ব “মা” দিবস উদযাপন নাচোলে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কে সংবর্ধনা নাচোলে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু গোমস্তাপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  আশরাফ আলী আলিম নির্বাচিত নাচোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কাদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামাল উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা ইয়াসমিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত। বুধবার নাচোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান পদে ২জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে-৩জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে-২জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উজিরপুর গ্রামীণ ব্যাংকের একাধিক গ্রাহকের টাকা আ

Reporter Name / ৩৬ Time View
Update : সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি ঃ বরিশালে উজিরপুর উপজেলার (বেসরকারি সাহায্য সংস্থা) গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ফিল্ড কর্মকর্তা আঃ সালাম হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাতসহ নারী কেলেংকারীর অভিযোগ। জানা যায়, মোঃ সালাম হোসেন (পরিচিতি নং-৪৮৭২৫) গত ২৪ মার্চ ২০১৪ তারিখে উজিরপুর শাখায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে গ্রাহকের জিপিএস এর টাকা, কিস্তির টাকা আত্মসাৎ, সুদের টাকা আত্মসাৎ করে কোটিপতি বনে গেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চর হোগলা গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ আঃ সালাম ওরফে রানা মাহমুদ তার পিতা একজন পান সিগারেটের দোকানদার। তার ছোট ভাই কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মী পদে চাকুরীর সুবাদে বেতন পান ১৪ হাজার ৭শত টাকা। কিন্তু বিভিন্ন গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে উজিরপুর এবং মেহেন্দীগঞ্জে কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭০ম কেন্দ্রের ঋণ বই নম্বর ৬৪৮৫, গ্রাহক মিনারা ১০ মার্চ ২০২০ তারিখে ২ হাজার ২শত টাকা কিস্তি আদায় করেন যা গ্রাহকের বইতে তার স্বাক্ষর আছে। ব্যাংকের সিটে জমা করেন ১ হাজার ১শত টাকা। আত্মসাৎ করেন ১ হাজার ১শত টাকা। ৬ম কেন্দ্রে গ্রাহক ৫১৫৩-অনু রানী ২৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে কিস্তি আদায় করেন ২ হাজার ৯শত ৫০ টাকা। ব্যাংক সিটে শূন্য এবং সব টাকাই আত্মসাৎ করেন। ১৩ম কেন্দ্রে ১৪৬৬/১ গ্রাহক পারুল ২২ জুলাই ২০২০ তারিখ ১ হাজার টাকা কিস্তি আদায় করেন। ব্যাংক সিট জমায় শূন্য এবং এখানেও আত্মসাৎ করেন সবটাই। ২৫ম কেন্দ্রে ৫৫/৪৭ গ্রাহক বীনা ৩০ জুলাই ২০২০ তারিখ কিস্তি আদায় করেন ১ হাজার ৬শত টাকা। ব্যাংক সিটে জমা করেন ৮শ টাকা এবং আত্মসাৎ করেন ৮শত টাকা। ২৫ম কেন্দ্রে ৫১৪৪ গ্রাহক জাহানারা। ২১ জুলাই ২০২০ আদায় করেন ১ হাজার ২৫০ টাকা কিন্তু ব্যাংক সিটে শূন্য রেখে আত্মসাৎ করেন সবটাই। সুদের টাকা- কেন্দ্র ৬৪পুঃ ঋণ নং-৬৬৪৭ গ্রাহক রবীন ৫ জানুয়ারী ২০২০ তারিখ আদায় করেন ৫০৪০ টাকা। ব্যাংক সিটে জমা করেন ৩ হাজার ৫শত এবং আত্মসাৎ করেন ১ হাজার ৫শত ৪০ টাকা। ঋণ নং ৮০৪৩, গ্রাহক কেশব চন্দ্র ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ আদায় করা হয় ৬৯০ টাকা যা ব্যাংক সিটে জমা করেন ১৩৭ টাকা বাদবাকী ৫৫৩ টাকা আত্মসাৎ। ৫০ পুঃ ঋণ নং ৪৫৪৫/১ গ্রাহক সোহরাব হোসেন ১৪ জুন ২০২০ তারিখ সুদের টাকা আদায় করেন ২ হাজার ৯শত ৫০ টাকা। ব্যাংক সিটে জমা করেন ১ হাজার ৮শত ৫২ টাকা। আত্মসাৎ করেন ১ হাজার ৫৮ টাকা। ঋণ নং ২৯৮১, গ্রাহক মজিবুর রহমান বিগত ২৬ জানুয়ারী ২০২০ তারিখে আদায় করেন ২ হাজার ১শত টাকা। ব্যাংক সিটে জমা করেন ১ হাজার ৬শত ৪০ টাকা। আত্মসাৎ করেন ৪শত ৬০ টাকা। জিপিএস কেন্দ্র ২৯ম ঋণ নং ২৭১০ গ্রাহক মিনারা ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে ৭৭ হাজার ২শত ২০ টাকা। সদস্যকে প্রদান করেন ৬৯ হাজার ১শত টাকা। আত্মসাৎ করেন ৮ হাজার ১শত ২০ টাকা। ঋণ নং ২২০৪/১ গ্রাহক কাঞ্চনী। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখ ৭৭ হাজার ২শত ২০ টাকা। প্রদান করেন ৬৯ হাজার ১শত টাকা। আত্মসাৎ করেন ৮ হাজার ১শত ২০ টাকা। কেন্দ্র নং ৬ম ঋণ নং ৫১৫২/১ সোনিয়া ১৫ জুন ২০২০ তারিখ টাকা ১৫ হাজার ৪৪৪ টাকা। গ্রাহককে প্রদান করেন ১৩ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং আত্মসাৎ করেন ১ হাজার ৫শত ৬৯ টাকা। ঋণ নং ৪৮৫৭/১, গ্রাহক পাখি ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখ ১৫ হাজার ৪৪৪ টাকায় প্রদান করা হয় ১৩ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং আত্মসাৎ করেন ১ হাজার ৫শত ৭০ টাকাসহ আরো একাধিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেন যার পরিমান প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা। এ ছাড়াও উজিরপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে অভিযুক্তর একটি বাগানবাড়ি রয়েছে। যেখানে বসে একাধিক মেয়ের সাথে ফুর্তি করেন বলে অভিযোগ করেন ওই এলাকার সাধারণ মানুষ। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও গ্রামীণ ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে সালাম এহেন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ উজিরপুর শাখা থেকে ঝালকাঠীর বিনয়কাঠী শাখায় কর্মরত রয়েছেন। ভূক্তভোগী গ্রাহকের টাকা ফেরৎ পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করছেন হয়রানির শিকার গ্রাহকরা। অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে আঃ সালাম বলেন আমি বর্তমানে বিনয়কাঠীতে কর্মরত আছি। উজিরপুর আগে ছিলাম ওই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। এ বিষয়ে উজিরপুর গ্রামীণ ব্যাংকের শাখার পরিচালক কিংকন দেবনাথ বলেন, আঃ সালাম অনেক আগেই বদলী হয়ে গেছেন তার দূর্ণীতির ব্যাপারে একটি অডিট হয়েছে পরবর্তীতে অডিট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!