• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঝিনাইদ সীমান্ত থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩ পিস স্বর্ণের বারসহ আপন দুই ভাইকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি নাচোল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু পুলিশের হাতে গ্রেফতার! গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃ’ত্যু গোপালগঞ্জে আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪ পালিত নাচোলে জাতীয় আইন গত সহায়তা দিবস-২৪ পালিত গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় এসির তার চুরির ৩ ঘন্টার মধ্যে চোরকে আটক করে মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত নাচোলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার বরাদ্দের অর্থ লোপাটের অভিযোগ খামারিদের নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান

পুকুর খননের গ্রাস থেকে কৃষি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা

Reporter Name / ৩০২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আগে রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় যে সমস্ত বিলে দেখা যেত ফসলে ভরা মাঠ এখন সেখানে দেখা মেলে শুধু পুকুর , দিঘী আর জলাভূমি। উর্বর ফসলি জমি কেটে তৈরি করা হয়েছে বড় বড় পুকুর আর দীঘি ।ফলে যেমন কমেছে কৃষি জমি তেমনি পুকুর দিঘী, আর জলাশয়ের কারণে ফসলের মাঠে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা ।এই উপজেলায় নির্বিচারে পুকুর খনন চলতে থাকায় বিভিন্ন ফসল উৎপাদনও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন। অধিক হারে পুকুর খননের কারণে ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে। এতে পরিবেশগত প্রতিকূলতার আশঙ্কা চরম পর্যায়ে। যদিও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে আবাদি জমিতে পুকুর খনন বেআইনি ও অপরাধ তবুও মানা হচ্ছে না কৃষি জমি সুরক্ষায় সরকারের কোন নিয়ম নীতি ও নির্দেশনা। কৃষি জমি যথাসম্ভব কৃষি কাজে ব্যবহার নিশ্চিত করা ভূমি ব্যবহার নীতির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলেও বাস্তব অবস্থা এর বিপরীত।

ভূমি ব্যবহার নীতি ২০০১ এ বলা আছে কৃষি জমি কৃষি কাজে ব্যতিরেখে অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না কিন্তু এ নীতির বাস্তবায়নে দুর্গাপুর উপজেলায় কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। এই ধারাবাহিকতায় এখনো দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের মৃধাপাড়া ও হুজার বিলে আবাদি কৃষি জমিতে অবিরাম গতিতে নির্বিঘ্নেই অবৈধ পুকুর খনন অব্যাহত। কিন্তু কার্যত প্রশাসনের কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। বিশেষ করে এই উপজেলায় কয়েক বছরে প্রায় অর্ধেক আবাদি কৃষি জমি পুকুর খননের গ্রাসে চলে গেছে তবে যেটুকু জমি অবশিষ্ট ছিল নতুন ভাবেও চলতে শুরু করেছে খনন যন্ত্র । তবে অধিকাংশ পুকুর খনন করা হয়েছে নিষ্কাশন নালা এমনকি ব্রিজ কালভার্টের মুখে । হালকা বৃষ্টিতে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে ।এতে শুধু ফসল নষ্ট হচ্ছে না আবাদি জমিতে পুকুর খনন বেশি হওয়ায় অএ অঞ্চলের গৃহপালিত প্রাণীর চারণ ভূমিও ব্যাপক কমে যাচ্ছে। শুধুমাত্র চারনভূমির সংকটে মানুষ গরু ,মহিষ ও ছাগল প্রতিপালন ছেড়ে দিচ্ছেন l এ কারণে দুর্গাপুর উপজেলায় ধান, পাট, গম আলু, পিয়াজ, মরিচ, ভুট্টা সহ সকল প্রকার শাক সবজির উৎপাদন অনাকাঙ্ক্ষিত হারে কমে যাচ্ছে ।

 

আরও পড়ুনঃ- গোমস্তাপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

 

অস্বাভাবিক কৃষি জমি কমে যাওয়ার প্রবণতা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। কৃষি আমাদের জীবন জীবিকার প্রধান ক্ষেত্র । ভূমি ছাড়া কৃষি সম্ভব না। ভূমি জীবন জীবিকার উৎস। কৃষক মানেই তার ভুমি থাকতে হবে । ভুমি না থাকলে কৃষক কোথায় চাষ বাস করবে ।আমাদের খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমির প্রয়োজন। তথাপিও দুর্গাপুর উপজেলায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের ছত্র ছায়ায় সিন্ডিকেটের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবেই সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে উৎপাদনশীল আবাদি কৃষি জমিতে অবৈধভাবে এই ধ্বংসাত্মক খনন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

ভয়াবহ এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আবাদি কৃষি জমি বাঁচাতে এবং তা রক্ষায় স্থানীয় কৃষকরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আইনগত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এম.এস.হোসেন/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!