ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: ছোটবেলা জীবনটা কতই না আনন্দের, শৈশব আর কৈশোর মানে হরেক রকমের খেলায় মেতে থাকা । কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের প্রতিটি বেড়ে ওঠা শৈশব যেন কতদিন আগেই হারিয়ে ফেলেছে গ্রামঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো।
শুধু চর্চার অভাবে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা। গ্রামীণ কৃষ্টি ও লোকজ ক্রীড়াঙ্গনের জনপ্রিয় এ খেলাগুলো , পুনরুদ্ধারে নেই কোনো উদ্যোগ। আর সে কারণেই শিশু-কিশোররা ঝুঁকছে মোবাইল, ভিডিও গেম, জুয়া কিংবা মাদকের দিকে।
এক সময় ভোলাহাটের গ্রামঞ্চলে হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট, কানামাছি, কাংগুলি,বৌচি, ভুরকাভাত, কুতকুত, দাড়িয়াবান্ধা, ইচিং বিচিং, এলাটিং-বেলাটিং, রুমাল চুরি, লাঠিখেলা, লুকোচুরি ও পাতা খেলা ইত্যাদি ছিল বেশ জনপ্রিয়।
গ্রামীণ জনপদে মাঠ কিংবা ফসল কাটা শেষে ফাঁকা জমিতে শিশু-কিশোররা এসব খেলাধুলায় মেতে থাকতো। কিন্তু আজকাল এসব খেলার আয়োজন করা হয় না। খেলাগুলোর নামও জানে না এ প্রজন্মের অধিকাংশ শিশু- কিশোর। সেসব খেলার স্থান দখল করে নিয়েছে ক্রিকেট-ফুটবল, হ্যান্ডবল, হকি সহ নানা আধুনিক খেলাধুলা।
উপজেলার সাবেক ক্রীড়াবীদ ও ক্রীড়া সংগঠক নুরুল ইসলাম (শুকুর মাষ্টার) জানান, প্রাচীন হলেও কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কাছে এসব খেলা অনেকটাই নতুন। বাংলার গ্রামীণ খেলাধুলা রক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া সংগঠন গুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সাথে সাথে নিয়মিত খেলাগুলোর আয়োজনও করতে হবে ।
ভোলাহাট রামেশ্বর পাইলট ইন্সটিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব সাদিকুল ইসলাম বলেন, বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যবাহী এসব খেলা পুনরুদ্ধারে জন্য আমাদের সবাইকে সম্বলিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে।