• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গোমস্তাপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফন সম্পন্ন ঝিনাইদ সীমান্ত থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩ পিস স্বর্ণের বারসহ আপন দুই ভাইকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি নাচোল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু পুলিশের হাতে গ্রেফতার! গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃ’ত্যু গোপালগঞ্জে আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪ পালিত নাচোলে জাতীয় আইন গত সহায়তা দিবস-২৪ পালিত গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় এসির তার চুরির ৩ ঘন্টার মধ্যে চোরকে আটক করে মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত নাচোলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার বরাদ্দের অর্থ লোপাটের অভিযোগ খামারিদের

গোমস্তাপুরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার নানা অজুহাতে ধান সংগ্রহে কৃষকদের হয়রানির অভিযোগ

Reporter Name / ৫৩৮ Time View
Update : শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১

গোমস্তাপুরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার নানা অজুহাতে ধান সংগ্রহে কৃষকদের হয়রানির অভিযোগ

গোমস্তাপুর(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে খাদ্য কর্মকর্তার খোঁড়া অজুহাতে খাদ্য গুদামে ধান দিতে এসে ফিরে গেলেন তিন কার্ডধারী প্রকৃত কৃষক। শনিবার (০৩ জুলাই )দুপুরে উপজেলা সদর রহনপুর খাদ্যগুদামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তিনজন কৃষক আমিনুল, আবুল কালাম আজাদ, আবুল হোসেন বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে তারা ধান দিতে খাদ্য গুদামের প্রধান ফটকে এলে , ধানের বস্তা নেই বলে পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে।তারা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী (আরশি) ধানে চিটা আছে এমন অভিযোগ তুলে ধান না নিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।তারা আরও অভিযোগ করেন, কৃষক নামধারী কিছু লোকের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে নিম্ন মানের ধান নেয়া হচ্ছে অথচ সামান্য চিটার কারনে তাদের ধান নেয়া হয়নি।কৃষকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত (ওসি-এলএসডি) সাকিলা নাসরিন বলেন,তাদের ধানে চিটা(পাতান) থাকায় তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাতান মুক্ত করে নিয়ে এলে তাদের ধান নেয়া হবে। এদিকে, উপজেলায় ধান-চাল সংগ্রহে ওই খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকৃত কৃষকদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। এর ফলে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কয়েকজন ব্যক্তির সাক্ষাৎকারে জানা গেছে,টন প্রতি ১/২ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়ে ধান সংগ্রহ করছে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (অতি: দা: প্রাপ্ত)নরোত্তম কুমার শাহ বলেন, তিনজন কৃষক খাদ্য গুদামে ধান নিয়ে এসেছিল আর সেটি বিনির্দেশ সম্মত না হওয়ায় ধান ফেরত পাঠানো হয়েছে। এবং সে ধানের চিটার (পাতানের)পরিমাণ বেশী থাকায় তাদেরকে চিটা মুক্ত করে আনতে বলা হয়েছে।

ধান সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।ওই তিনজন কৃষকের ধানে চিটা(পাতান) থাকার কারণে তাদের চিটা মুক্ত করে আনতে বলা হয়েছিল।কিন্তু তারা আনবে না বলে চলে যায়।তাই তাদের ধান ফেরত পাঠানো হয়েছে।ধান সংগ্রহে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগের কথা বললে তিনি বিষয়টি জানেন না বলেন।তবে এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা অন্তরা মল্লিক বলেন, ওসি-এলএসডি’র মাধ্যমে সে জানতে পেরেছে ধানগুলো বিনির্দেশ সম্মত না হওয়ায় তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!