ভারতের কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শামীমাতুল আরশ বিজেলী (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের পার কানসাট গ্রামের আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন বিশ্বাসের স্ত্রী। এ ঘটনায় গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। অভিভাবক হারিয়ে শোকে স্তদ্ধ পুরো পরিবার।
রবিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের নিহত শামীমাতুল আরশ বিজেলী বেগমের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, গেল ৯ মার্চ হার্টের জটিলতায় চিকিৎসার জন্য ভাই রুহুল আমিন, বড় ছেলে শাহাদাত হোসেন ও নাতি লাবিবকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের কলকাতায় গিয়েছিলেন শামীমাতুল আরশ বিজেলী। এরপর রাতে থাকার জন্য কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি হোটেলে উঠেন তারা। কিন্তু হঠাৎ শনিবার ভোরে সেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রিয়জন হারানো যন্ত্রণা সইতে না পেরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কান্না করছেন আত্মীয়-স্বজনরা। স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো গ্রাম। অভিভাবক হারিয়ে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন তারা। কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। আহাজারিতে এলাকাবাসীরও চোখের পানি থামাছে না। নিহত শামীমাতুল আরশ বিজেলীর মেয়ে মোয়াজেম্মা বেগম বলেন, গত তিন মাস ধরে মা অসুস্থ অনুভব করলে গত ৯ মার্চ কলকাতায় গিয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার ভোর চারটার দিকে খবর আসে, আমার মা আর নেই। হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মা মারা গেছেন। এ কথা শুনে সব কিছু থমকে গেছে। কখনো ভাবিনি আমার মা এভাবে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন।
নিহতের ছেলে সারাফাত হোসেন চয়ন বলেন, এর আগেও মাকে নিয়ে ভারতে বেশ কয়েকবার চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম। সে সময় অসুস্থ অবস্থায় গিয়ে ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু এবার চিকিৎসার জন্য গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, মাকে তো আমরা হারিয়ে ফেলেছি। শত চেষ্টা করলেও আর ফিরবে না। তাই দুহাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছি। মাকে নিজ হাতে দাফন করার জন্য।
এ বিষয়ে কানসাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেনাউল ইসলাম বলেন, কলকাতার একটি হোটেলে শামীমাতুল আরশ বিজেলীর অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি।