মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নাগরপুর,টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের দেওয়াকুটিয়া গ্রামের আজিজুলের স্ত্রী ছালেহা বেগম (৫০) ২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত ছালেহা বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়, জমি কেনার জন্য ব্যাংক ও গয়হাটা আত্মীয়ের নিকট থেকে ৮২ হাজার ৮শত টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দেওয়াকুটিয়া গ্রামের আওয়ালের বাড়িতে গাভীর দুধ চাইতে গেলে জলিস ও তার স্ত্রী আমাকে টেনে হিছরে তার বাড়িতে নিয়ে হামলা করে।
ভুক্তভোগী আরো জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ওত পেতে ছিলো জলিস ও তার লোকজন। মৃত বাকাতের ছেলে জলিস (৫৫), জলিসের স্ত্রী হাজেরা (৪০), মেয়ে জুঁই (১৮) লাঠিসোটা নিয়ে পেছন থেকে অতর্কিতে ছালেহার উপর হামলা করে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সালেহা বলেন, ওরা আমাকে চুলের মুঠি ধরে মোটা বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটাতে পেটাতে মাটিতে ফেলে দেয়। লাঠির আঘাতে এক পর্যায়ে লাঠি ভেঙে গেলে তারা আমাকে কিল বসিয়ে চড়-থাপ্পড় লাথি মারতে থাকে। আমার পেটের উপর উঠে পাড়াতে থাকে। এর মধ্যে আমার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে, জমি কেনার জন্য জমানো নগদ ৮২,৮০০ টাকা নিয়ে ভ্যানিটি ব্যাগ টি ফেলে দেয়। এছাড়াও আমার গলায় থাকা আনুমানিক স্বর্ণের এক ভরি ওজনের চেইনটি ছিনিয়ে নেয়।
আমার চিৎকারে আশেপাশের মানুষজন ও আমার পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে ওরা পালিয়ে যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তারা ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে তৎক্ষণাৎ তাকে নাগরপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনটাই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের বিষয়ে পরিবার জানায়, আমরা রোগী নিয়ে এখনো দৌড়াদৌড়ির মধ্যে রয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা এলাকার গন্য মান্য লোকজনদেরকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করেছি, উনি একটু সুস্থ হলেই এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করবো।