পলাশ সিকদার, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব, গোপালগঞ্জ এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হাজী কাবুল মিয়াকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কর্যালয়ের আইন শৃংখলা সভা থেকে বের হবার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জানা যায় গত কয়েকদিন পূর্বে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মিয়া বাড়ী ও চর সোনাকুড় এর মাঝে পূর্বের এক গোন্ডগোলের রেস ধরে মারামারির সৃষ্টি হয়। ঐ গোন্ডগোলে চর শোনাকুড়ের একজন আহত হয়। ঐ আহত ব্যক্তি কে নিয়ে শুরু হয় এলাকা ভিত্তিক নোংড়া রাজনীতি। এই নোংড়া ঘৃনিত রাজনীতির শিকার হাজী কাবুল। কিন্তু গোপালগঞ্জ বাসীর একটাই প্রশ্ন রেশারেশি করে নির্দোষ ব্যক্তিদের মামলায় নাম দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা এলাকা ভিত্তিক ভাবে হতে পারে। ব্যপারটা তদন্ত করে দেখবে কে ? এগুলো দেখার দায়িত্ব কার, কেউ মামলা দিলে তা তদন্ত করে দোষিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা পুলিশের দায়িত্ব।
পুলিশ যদি চক্রান্তকারীদের হাতে হাত মিলিয়ে নির্দোষ লোকেদের গ্রেফতার করে এর দায়ভার কে নেবে। এই ভাবে ঘটতে থাকলে পুলিশের উপর থেকে সাধারন মানুষের ভরসা উঠে যাবে। গোপালগঞ্জের এই সনাতন নিয়ম বাদ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।কোথাও কোন গোন্ডগোল হলে গ্রাম ধরে মামলা হয়।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে এক জরুরী সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সকল সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক হাজী কাবুলের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানান।