• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কোটালীপাড়া বজ্রপাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত গোমস্তাপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফন সম্পন্ন ঝিনাইদ সীমান্ত থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩ পিস স্বর্ণের বারসহ আপন দুই ভাইকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি নাচোল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু পুলিশের হাতে গ্রেফতার! গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃ’ত্যু গোপালগঞ্জে আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪ পালিত নাচোলে জাতীয় আইন গত সহায়তা দিবস-২৪ পালিত গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় এসির তার চুরির ৩ ঘন্টার মধ্যে চোরকে আটক করে মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত

সংগ্রামের সাক্ষী মঠগুলোর ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে এখন, যা ক্রমেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে

Reporter Name / ৫৬ Time View
Update : সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আরিফুল ইসলাম জয়
ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামেন কালের স্বাক্ষী নাগেশ্বরী’র ভবানী পাঠকের মঠ

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন কুড়িগ্রামসহ বৃহত্তর রংপুরের ফকির ও সন্ন্যাসীরা। যা ইতিহাসে ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে খ্যাত। এই সংগ্রামে ফকিরদের নেতৃত্বে ছিলেন ফকির মজনু শাহ বুরহানা আর সন্ন্যাসীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভবানী পাঠক। ভবানী পাঠক ছিলেন রংপুরের পীরগাছা এলাকার মন্থনার জমিদার জয়দুর্গা দেবী চৌধুরানীর নায়েব। তার বাড়ি ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার পাঠকপাড়ায়। তিনি বিভিন্ন এলাকায় শিবমন্দির নামে মঠ তৈরি করেন।

এই মঠগুলোতে অবস্থান নিয়ে সন্ন্যাসীরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করতেন। সংস্কারের অভাবে কালের সাক্ষী সেই মঠগুলো কোনো রকমে টিকে আছে। পলাশী যুদ্ধের পর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে ফকির ও সন্ন্যাসীরা বিদ্রোহী হয়ে স্বাধীনতার জন্য প্রত্যক্ষ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।

১৭৭০ সালে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এই দুর্ভিক্ষের শিকার ভূমিহীন ও নিরন্ন কৃষকদের সমর্থন পান বিদ্রোহীরা। এ সময় বিদ্রোহী সন্ন্যাসীদের মাধ্যমে ভূমিহীন ও নিরন্ন কৃষকদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য ১৭৭০ থেকে ১৭৭২ সালের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় শিবমন্দির নামে মঠ নির্মাণ করেছিলেন ভবানী পাঠক। তাই এগুলো ভবানী পাঠকের মঠ নামে পরিচিত। ভবানী পাঠকের নির্মিত মঠগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নাগেশ্বরী উপজেলার কাচারি পয়রাডাঙ্গা এলাকায় কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের দু’পাশে নির্মিত দুটি শিবমন্দির, কামাক্ষা মাতা ঠাকুরানী মন্দির, বাঁশেরতল শিবমন্দির, উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণী এলাকার দোল মন্দির ও শিবমন্দির এবং ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা এলাকার শিবমন্দির। অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মঠগুলোর আদল প্রায় একই রকম।

সংগ্রামের সাক্ষী মঠগুলোর ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে এখন, যা ক্রমেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!