গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ শহরের সিভিল সার্জন অফিস ও সদর হাসপাতালের সামনে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে সেতু ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। গত ১৬ই জানুয়ারি বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জর মোঃ জিল্লুর রহমান এর নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মোঃ ইশতিয়াক আহম্মেদ এর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয় ।
এ সময় ৭ জন দালাল চক্তের নারী সদস্যকে জেল পরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক । পরে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানাও করা হয়। অপর দিকে,সিভিল সার্জন অফিস সংলগ্ন সেতু ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক অভিযানে গেলে প্রতিষ্টানের মালিক মাহামুদুল আলম (বাবুল) তাক্ষনিক সটকে পড়েন। সেখানে সিজারের ৫টি মহিলা রুগী পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি কোন নার্স বা ডাক্তার । উপস্থিত সেতু ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিচ্ছন্ন কর্মি পাওয়া গেলে, সে প্রতিষ্টানের মালিক মাহামুদুল আলম (বাবুল)কে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি অপর দিক থেকে বলেন আমি দুরে আছি পরে এসে দেখা করব।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মোঃ ইশতিয়াক আহম্মেদ মানবিক দিক বিবেচনা করে ২৪ ঘন্টার সময় বেধে দিয়ে সেতু ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যাবতীয় কাগজ পত্র নিয়ে সিভিল সার্জন অফিসে প্রতিষ্ঠানের মালিককে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে সেতু ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মাহামুদুল আলম (বাবুল) জানান, আমার এখানে ১০ টি বেড আছে ৪ জন র্নাস ও ১ জন ডাঃ আছে। তবে সরোজমিনে গিয়ে কোন নার্স বা ডাক্তার পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে,গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জর মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, সেতু ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মাহামুদুল আলম (বাবুল) আমার অফিসে এসেছিল যাবতীয় কাগজ পত্র ঠিক করার জন্য ১৫ দিনের সময় চায় কিন্ত তাকে কাগজ পত্র ঠিক করার জন্য ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়। এই ৭ দিনের মধ্যে যাবতীয় নিয়ম নিতি না মানলে তার প্রতিষ্টান বন্ধ করে দেওয়া হবে।