• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঝিনাইদ সীমান্ত থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩ পিস স্বর্ণের বারসহ আপন দুই ভাইকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি নাচোল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু পুলিশের হাতে গ্রেফতার! গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃ’ত্যু গোপালগঞ্জে আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪ পালিত নাচোলে জাতীয় আইন গত সহায়তা দিবস-২৪ পালিত গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় এসির তার চুরির ৩ ঘন্টার মধ্যে চোরকে আটক করে মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত নাচোলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার বরাদ্দের অর্থ লোপাটের অভিযোগ খামারিদের নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান

অবৈধ বালু উত্তোলন সিন্ডিকেটের মূলহোতা হাবিবুর চেয়ারম্যান

Reporter Name / ৮৮ Time View
Update : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ :চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাগলা ও পদ্মা নদীর বালু সিন্ডিকেটের মূলহোতা হাবিবুর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব৷ সদর উপজেলা ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৬, ৭, ৮ নম্বর বাঁধ ও পাগলা নদী থেকে চলছে এসব বালু উত্তোলন। দিন ও রাতে সমানহারে চলছে অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন।

অভিযোগ রয়েছে, গত কয়েক বছর থেকে পদ্মার বাঁধ ও পাগলা নদী থেকে বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দেন, সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের হাবিবুর রহমান ওরফে হবি মাস্টার। কয়েকটি বালু উত্তোলন ও অবৈধ এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা হিসেবে পদ্মা ও পাগলা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন বালুখেকোরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পদ্মা ও পাগলা নদীর অন্তত ৫-৬টি পয়েন্টে এসব অবৈধ বালু উত্তোলন করা হয়। প্রত্যেক বালুর পয়েন্ট থেকে চাঁদা তুলেন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। স্থানীয় প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পুলিশের নাম করে এসব চাঁদা তুলেন তিনি। যেকোন বালুর পয়েন্টে চাঁদা না পেলেই নানারকম হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো শুরু করেন হাবিবুর চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।

অভিযোগ রয়েছে, হাবিবুর চেয়ারম্যান নিজের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে গড়ে তুলেছেন প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এমনকি চেয়ারম্যানের বিশ্বস্ত একান্ত সহকারী ও সহযোগী মাইনুল ও জিয়া, বাগচর এলাকার বুলু হাজী, জাফরুল, করিম, বিশু, সুধা, লেদ জিয়া, লুটু, শফিক কাটানী, রেজাউল, এমাদুল অবৈধভাবে এসব বালু উত্তোলন করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বালুমহলগুলো থেকে বিভিন্ন পরিমান চাঁদা তুলে ম্যানেজ করেন প্রশাসনকে। যার কারনে শিবগঞ্জ উপজেলার মধ্যে প্রতিনিয়ত অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান হয়। এমনকি এসব অভিযানে জেল জরিমানা আদায় করা হলেও অদ্ভুত কারনে সদর উপজেলার মধ্যে কোন অভিযান হয়না।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চেয়ারম্যান সিন্ডিকেটকে চাঁদা না দিলেই উপজেলা প্রশাসন দিয়ে নানারকম হয়রানি ও মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন হাবিবুর চেয়ারম্যান। সদর উপজেলার মধ্যে বালুমহলের কার্যক্রমে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান হলেও সদর উপজেলায় অজানা কারনে অভিযান করেনা উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান পদ্মা নদী ও পাগলা নদী থেকে বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দেয়। নদী ও ফসলী জমি ও বালু কেটে নিয়ে যাওয়া হয় ইটভাটায়। এসব বালু মাটি উত্তোলন করার কারনে পদ্মা ও পাগলা নদীতে ভাঙন দেখা দেয় প্রতিবছর। এতে ভিটেমাটি হারা হয় পদ্মাপাড়ের মানুষরা। এছাড়াও প্রত্যেক বছর কয়েক হাজার বিঘা ফসলী জমি তলিয়ে যায় নদীগর্ভে।

নাম প্রকায় না করার শর্তে কয়েকজন বালু উত্তোলনকারীরা বলেন, চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান নিজেই অবৈধ বালু উত্তোলন করে। এমনকি বাকি বালুমহলগুলো সবগুলোই চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও তার লোকজনের। আমরা কয়েকজন যারা চেয়ারম্যানের বাইরে মাটি-বালু কাটছে, তাদের কাছে নিয়মিত চাঁদা নেয় হাবিবুর চেয়ারম্যান। চাঁদা না দিলেই হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও তার লোকজন।

এবিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানায় স্থানীয় প্রশাসন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!