• সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৯:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন কর্নেল তানভীর হোসেন রাজবাড়ীর পাংশায় পরকিয়ার জেরে গৃহবধুর আত্মহত্যা। রাজবাড়ীতে চুরির অপবাদ দিয়ে শিকলে বেঁধে যুবককে রাতভর নির্যাতন ও শরীরের খেঁজুরের কাটাবিদ্ধ পলাশবাড়ীতে শ্বশুরের কবল থেকে স্ত্রীকে ফিরে পেতে অসহায় স্বামীর সংবাদ সম্মেলন যাত্রা বিরতির দাবিতে রাজশাহীতে রেলপথ অবরোধ কালুখালীতে চন্দনা নদী থেকে অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার রহনপুর আমবাজারে আম কেনাবেচা বন্ধ বিপাকে আম চাষিরা নাচোলে শিশিরের স্বরনে ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীর কালুখালীতে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২০ জন আহত আশুগঞ্জে ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত কামার শিল্পের কারিগররা

নবাবগঞ্জে খোলা মাঠে খড়কুটোর ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসিনার বসবাস

Reporter Name / ২১১ Time View
Update : শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

লুৎফর রহমান হিলি দিনাজপুর,প্রতিনিধি :
দূর থেকে দেখে মনে হবে এ যেনো জমিতে পানি সেচের জন্য তৈরি করা শ্যালো মেশির কিংবা গভীর নলক’পের ঘর। তবে কাছে গিয়ে দেখা যায় সেই ছোট ঘরে এক ব্যতিক্রম পরিবারের বসবাস। নিজের জায়গা-জমি কিছু না থাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তির গভীর নলক’পের ঘরের পাশে খড়কুটো দিয়ে তৈরি করা ছোট ঘরে বসবাস করে হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের শাল্টিমুরাদপুর এলাকায়। ডিজিটাল যুগেও এ যেনো এক মানবেতর জীবন যাপন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কিছুই জানে না। খোলা মাঠ চারিপাশে শুধু ফসলের জমি আর জমি । সেখানেই একটি গভীর নলক’পের সাথেই খড়কুটো দিয়ে ছোট্ট একটি ঘর তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে হাসিনা নামের এক নারী। সেই ঘরে থাকে স্বামী ও অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া এক সন্তান । সেখানে নেই রাস্তাঘাট ,নেই পানির ব্যবস্থা নেই কোন বিদুৎ ব্যবস্থা।

কথা হয় হাসিনার সাথে তিনি জানান,আমরা স্বামী একজন দিনমুজুর। দিন আনি দিন খাই। নিজের জায়গা জমি কিছুই নেই,নেই কোন বাড়ি ঘর। নিধুয়া পাতারে একটা ছোট ঘরে থাকি। সাপ-পোকামাকড়ের ভয় অন্যদিকে রাস্তাঘাট কিছু নেই পানি হলে ঘর থেকে বের হতে পারি না। খাবার পানি আনতে যেতে হয় অনেকদুর রাতের বেলা অন্ধকারে থাকতে হয়,অনেক কষ্ট করে আছি। ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে অনেক কষ্টে থাকি। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাকে একটু জায়গাসহ নিরাপদ একটি থাকার ব্যবস্থা করে দিলে আমি উপকৃত হবো।

স্থানীয় ব্যক্তি রোকনুজ্জামান বলেন,তারা অনেক কষ্টে থাকে। রাতের অন্ধকারে খোলা মাঠের মাঝে থাকা আসলেই একটি কষ্টের বিষয়। তাদের শুধু থাকা নয় বরং সব দিক দিয়েই তারা কষ্ট ভোগ করে। স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধি তাদের জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির কাছে দাবি জানাচ্ছি তাদের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।

ভাদুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসমান জামিল জানান,আমার কাছে তো তারা আসেনি। আর আমি জানি না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম,তাদেরকে আমার কাছে আসতে বলেন। তাদের যদি ঘর না থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্প রয়েছে সেখানে উপজলো প্রশাসনের সাথে কথা বলে ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন্নাহার বলেন,আমি এ বিষয়ে জানি না। তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানে মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category