সজ্ঞিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনী ডামাঢোলের আবহ না কাটতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে গলাচিপা পৌরসভা নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম। প্রার্থীরা দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। চলছে উঠান বৈঠকসহ নানা কার্যক্রম। হোটেল, রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানে ভোটাররা প্রার্থীদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে করছেন চুলচেরা বিশ্লেষণ।
মেয়র পদে প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান মেয়র আহসানুল হক তুহিন, দলটির বিদ্রোহী মামুন আজাদ, ইসলামি আন্দোলনের নাজমুল হুদা রিপন ও স্বতন্ত্র জুলহাস মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ২৬ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন মাঠে আছেন। গলাচিপা পৌরসভা প্রায় ২৫ বছর আগে ১৯৯৭ সালে গঠন করা হয়। দীর্ঘ সময়ের পথচলায় পৌরসভায় উন্নয়ন ও সেবার মান নিয়ে বড় ধরনের আক্ষেপ নেই অধিকাংশ পৌরবাসীর। সড়ক উন্নয়ন, পানি সরবরাহ, জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো সেবা দিয়ে আসছে পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ড্রেনেজব্যবস্থা নির্মাণ না করায় বর্ষা মৌসুমে কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এদিকে প্রস্তাবনা থাকলেও আজ পর্যন্ত ময়লা-আবর্জনার ডাম্পিং গ্রাউন্ডের অনুমোদন আনতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বর্তমান মেয়র আহসানুল হক তুহিন বলেন, আমার প্রয়াত পিতা তিনবার গলাচিপা পৌরবাসীর সেবা করার চেষ্টা করেছেন। তার মৃত্যুর পর জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে গত মেয়াদে মনোনয়ন দেন। পৌরবাসী বিপুল ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করেন। আমি সাধ্যমতো পৌরসভার উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকা-কে প্রশ্রয় দিইনি। পৌর এলাকাকে মাদকমুক্ত রাখতে অনেক ভূমিকা রেখেছি। পৌরবাসীর বিচারে আমার সফলতার হার অনেক। এবার নির্বাচিত হলে দৃষ্টিনন্দন আধুনিক ডিজিটাল পৌরসভা নির্মাণে কাজ করব।
অন্য প্রার্থী মামুন আজাদ বর্তমান মেয়রকে দুর্নীতির গডফাদার আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি পৌরসভার সব টেন্ডারকে আত্মীয়করণ করেছেন। জনগণ তার কাছ থেকে কাক্সিক্ষত সেবা পায়নি। জনগণের সেবার মান বৃদ্ধি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত আধুনিক পৌরসভা গড়ার লক্ষ্যে গলাচিপা পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে আশা করি।