স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী: রাজশাহী নগরীতে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বিচারকের গাড়ি থামিয়ে ধরা পড়েছেন তিন যুবক। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানার মদিনানগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-নগরীর মুশরইল বাচ্চুর মোড় এলাকার সেলিম হোসেনের ছেলে আকাশ হোসেন (১৮), ছোটোবনগ্রাম চৌধুরীপাড়া এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে সিফাত আলী (১৮) এবং নগরীর পদ্মা আবাসিক হজোর মোড়ের রাজু আহেম্মেদের ছেলে মৃদুল আহেম্মেদ (১৯)।
পুলিশ বলছে, তারা মাদকাসক্ত। ঘটনার সময় তারা মাদক সেবন করে ছিলেন। তাদের কাছে কিছু মাদকও পাওয়া গেছে। মাদকের টাকা যোগাতে তারা ছিনতাইয়ে জড়িয়েছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার উপপরিদর্শক প্লাবন কুমার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর মদিনানগর মসজিদ এলাকায় সড়কে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ন কবীরের গাড়ির সামনে পড়েছিলেন ওই তিন যুবক। তিনিই পুলিশ ডেকে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পুলিশের তরফ থেকে থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরের দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিচারক হুমায়ন কবীর জানান, শ্বশুরের অসুস্থতার খবর পেয়ে রাতে তিনি কর্মস্থল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শ্বশুর বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। নগরীর বিমানচত্বর হয়ে তিনি নতুন বাইপাস সড়কে ধরে খড়খড়ির দিকে যাচ্ছিলেন।
চন্দ্রিমা থানার অদূরে মদিনানগর জামে মসজিদ এলাকায় হঠাৎই চলন্ত গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ান তিন যুবক। বাধ্য হয়ে তিনি গাড়ি থামান।
গাড়ি থেকে নামতেই তারা চাকু বের করেন। আত্মরক্ষায় তিনি সঙ্গে থাকা পিস্তল বের করেন। পরে পুলিশ ডেকে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন।
বিচারক আরও বলেন, ওই তিন যুবক মাদকাসক্ত। ঘটনার সময় তাদের মাদক সেবনের আলামত পাওয়া গেছে। নেশার যন্ত্রণায় তারা প্রত্যেকেই নিজের হাত ক্ষত-বিক্ষত করেছেন। হয়তো মাদক কেনার অর্থ যোগাতেই ছিনতাইয়েরমত অপরাধে জড়িয়েছেন তারা।
বিপথগামী এই তিন যুবকের প্রসঙ্গ টেনে সন্তানদের প্রতি যত্নবান হতে অভিভাবকদের আহবান জানান বিচারক। একই সাথে সন্তানরা কি করছে, কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মেলামেশা করছে-সে বিষয়েও নজর রাখার পরামর্শ দেন।