আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
কোনো দম্পতি আরও সন্তান নিতে চাইলে তাদের সহায়তা দেবে চীনা সরকার। সম্প্রতি দেশটি জনসংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সারাবিশ্বে করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চীনেও মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে এনেছে করোনা।
দেশটিতে বয়স্ক লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে। আবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সে কারণেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে সরকার। চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটিতে বয়স্ক জনসংখ্যা বাড়ছেই। এই সমস্যা সমাধানের জন্য শিশু জন্মের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
চায়না ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে প্রবীণদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং একই সঙ্গে অন্যান্য দেশের মতো চীনও এখন পর্যন্ত করোনার প্রকোপ থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তবে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত চীনে করোনা ভাইরাসের কারণে সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। যা অনেক দেশের চেয়েই কম।
বর্তমানে চীন সেই সব দম্পতিদের আর্থিক সহায়তা দিতে চলেছে যারা আরও শিশুর জন্ম দিতে চাচ্ছেন। রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা পপুলেশন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইউয়ান জানিয়েছেন, জনসংখ্যা-সম্পর্কিত একটি উন্নত নীতি চালু করা হবে।
১৯৭৮ সালে চীন ‘এক সন্তান’ নীতি ঘোষণা করেছিল। এই নীতি লঙ্ঘনকারী দম্পতিদের জরিমানাও করা হয়। এমনকি তাদের চাকরিও কেড়ে নেওয়া হয়। প্রচুর পরিমাণে গর্ভপাতও করা হয়েছিল। সে সময়, চীনের লক্ষ্য ছিল দেশের দারিদ্র্য হ্রাস করা। কারণ চীনে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ২০১৫ সালে চীন এক্ষেত্রে ছাড় দেয় এবং লোকজনকে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
চীনের একাডেমি অব সোস্যাল সাইন্সের বিশেষজ্ঞ ঝেং বিংওয়েন রয়টার্সকে বলেন, ‘বয়স্ক জনসংখ্যা স্রোত সক্রিয়ভাবে মোকাবেলা করার জন্য আমাদের দেশের পরিবার পরিকল্পনা নীতিগুলো সংস্কার এবং দম্পতিদের আরও সন্তান গ্রহণের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন।’
গত বছরের শেষ দিকের হিসাব অনুযায়ী, চীনে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের সংখ্যা ২৫ কোটির বেশি। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১৮ ভাগেরও বেশি।