• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঝিনাইদ সীমান্ত থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩ পিস স্বর্ণের বারসহ আপন দুই ভাইকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি নাচোল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু পুলিশের হাতে গ্রেফতার! গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃ’ত্যু গোপালগঞ্জে আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪ পালিত নাচোলে জাতীয় আইন গত সহায়তা দিবস-২৪ পালিত গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় এসির তার চুরির ৩ ঘন্টার মধ্যে চোরকে আটক করে মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত নাচোলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার বরাদ্দের অর্থ লোপাটের অভিযোগ খামারিদের নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান

ফিরে আসুন একজন মাহাথির মোহাম্মদ হয়ে ।

Reporter Name / ২৭৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১

ফিরে আসুন একজন মাহাথির মোহাম্মদ হয়ে ।

রাজশাহী সদর আসনে টানা তৃতীয় মেয়াদের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। বর্তমানে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজও নিয়েছিলেন। আমরা যতদূর জেনেছি, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর করোনা আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ততটা ঝুঁকি থাকে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় বিমান বাহিনীর একটি এয়ার এম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় নেয়া হলো। সেখানে সর্বোচ্চ চিকিৎসা গ্রহণ করছেন, বলতে হয় দেশের সৌভাগ্যবানদের একজন তিনি……..পরিচ্ছন্ন ইমেজের এই নেতা দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন এই দোয়া করি।

ফজলে হোসেন বাদশা যে দলটির নেতা সে দল ভোটের মাঠে প্রভাব রাখতে পারার মতো দল না। কিন্তু ফজলে হোসেন বাদশা স্বমহিমায় দেশবাসীর কাছে পরিচিত। যার নিজস্ব ভোট ব্যাংক ছিলো ১০ থেকে ১৫ হাজারের। তখন ফেসবুক যুগ ছিলো না। মনে আছে, মহিষবাথান এলাকা থেকে একবার কোর্ট দিগন্ত প্রসারি ক্লাব মোড়ের একটি দোকানে গিয়েছিলাম চেক প্যাঞ্জাবি পরিচিত ফজলে হোসেন বাদশার ছবি দেখতে। সময়ের চক্রে সেদিনের জনগণের ফজলে হোসেন বাদশা আজ সংসদ সদস্য (অর্থাৎ জননেতা)। এই সময়ে তাঁর সেই ক্যারিশমা চোখে পড়ে নি। অথচ এই ফজলে হোসেন বাদশাকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু’দলই টিকিট দিতে চেয়েছিলো।
বিগত নির্বাচনের সময় ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের কথা শুনেছি বটে, তবে খুব একটা ছাপ পড়ে নি। অথচ এক মেয়াদে সিটি মেয়র হিসবে জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন স্বাক্ষর রেখেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে এসেও সমান তৎপর। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়ে সমালোচনা আছে, পণ্য ক্রয়ে বেশি অর্থ ব্যয়ের বিস্তর অভিযোগ। এরপরও তিনি তাঁর মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতার সবটুকু ঢেলে তৎপর। করোনাকালে দুই টাকা দামের মাস্ক আর সাবান বিতরণের জনসেবায় বিশ্বাসী না। করোনার সময় রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ নিজে তদারকি করছেন, যাতে আর কোনো নিম্নমানের কাজ না হয়। একই সাথে করোনাকালে কিছু শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ, বিশ্বের অন্যতম সৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কিংবা ৫০০ টাকা ঋণ দিয়ে শান্তিতে নোবেল পাওয়া ড. ইউনুসের বাংলাদেশে একজন মাহাথির মোহাম্মদ পাবো না এটা আমি বিশ্বাস করি না……………মাহাথির মোহাম্মদকে তো আমরা সবাই চিনি, আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক। সব নেতারা এই ক্ষমতা রাখবেন, এটা সম্ভব না। তবে নীতিবোধ তো থাকবে। মাহাথির মোহাম্মদকে নিজের অপরেশনের জন্য দেশের বাইরে নেয়া সম্ভব হয় নি। উনার জীবন তখন সেদেশের কাছে মূল্যবান ছিলো। নিজ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করে তবেই তিনি অপারেশন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বলতে শুনেছি, অসুস্থ হলে তাঁকেও যেন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা না হয়। চিকিৎসা তিনি বাংলাদেশেই নেবেন, বিদেশে যেন তাঁকে নেয়া না হয়।
ফজলে হোসেন বাদশা মাহাথির মোহাম্মদ কিংবা শেখ হাসিনা না ঠিক আছে। তবে খুব একটা কম মনে করাও ঠিক হবে না। তিনি গতানুগতিক আর দশটা রাজনীতিবিদের মতো হবেন, এটা মনে করাও সত্যি কষ্টদায়ক। তিনি তৃতীয় মেয়াদে সুযোগ পেয়েছেন রাজশাহীবাসীর উন্নয়ন করার। সত্যি কথা বলতে কি, সদর আসনে প্রবৃদ্ধিগত উন্নয়নের সিংহভাগই মেয়র সাহেব করে থাকেন। কিন্তু কিছু বুনিয়াদি কাজ বাকি থেকে যায়। যে বুনিয়াদি কাজ রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষাবিস্তারের অগ্রদূত জননেতা মাদার বখশ্ করেছিলেন। আজকে যে মেডিকেল হাসপাতালটি দেখছি সেটিরও সূত্রপাত মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে করেছিলেন। এসব বুনিয়াদি জায়গাগুলোতে ফজলে হোসেন বাদশার মতো শক্তিশালী সাংসদ ভূমিকা রাখতে পারতেন।

তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার একমাত্র অবলম্বন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দীর্ঘমেয়াদে (সাংসদ হিসেবে পদাধিকার বলে) ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। এই সংসদীয় আসনে প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম সাহেব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও দিয়ে গেছেন। তিনি চাইলে রাজশাহী নয়, সারাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সিংহভাগ ঢেলে সাজানো সম্ভব ছিলো। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে রাজশাহী চিকিৎসা সেবার তির্থস্থানে পরিণত হতে পারতো। ফজলে হোসেন বাদশার সে দক্ষতা, যোগ্যতা দু’টিই আছে। তবুও রাজশাহীবাসী বঞ্চিত। জানি না, তিনি আজকে সমাজের নিচুতলার মানুষগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন কিনা??
আওয়ামী লীগ থেকে আসাদুজ্জামান আসাদ কিংবা ডাবলু সরকারকে সাংসদ সদস্য করা হলে তাঁরা প্রথমেই এই চিকিৎসা সেক্টরকে ঢেলে সাজাতেন। তাঁরা শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শয্যা পাশেই না সাধারণ মানুষ অসুস্থ হলেও ছুটে যান; চিকিৎসা খাতের বেহাল দশা সম্পর্কে অবগত। আধুনিক সিটি কর্পোরেশন গড়ার কাজ জোরেসোরে চলছে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা স্থানীয় সরকার তথা সিটি কর্পোরেশন যেভাবে করতে পারবে একজন সাংসদকে অতটুকু ক্ষমতা দেয়া হয় নি।
বাদশা ভাই এয়ার এম্বুলেন্সে উঠার আগে বলেছিলেন, যেখানে থাকেন, যেভাবে থাকেন রাজশাহীর জনগণের সাথেই আছেন।- আমরা তাঁর কথায় আস্থা রাখি। দোয়া করছি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন এবং এসেই সর্বপ্রথমে আমাদের অসুস্থ চিকিৎসাখাতকে সুস্থ করার দায়িত্ব নিন। তিনি এককথার মানুষ। দয়া করে জনগণকে বলবেন, আর কত মেয়াদে আপনাকে সাংসদ করা হলে রাজশাহীতে রাজনীতিবিদরাও চিকিৎসা নেবেন। চিকিৎসার জন্য ঢাকা, সিঙ্গাপুর কিংবার ভারতে ছুটে যেতে হবে না। আমি বিশ্বাস করি, এতটুকু আশ্বস্ত করলে তিনি যতবার নির্বাচিত হতে চান ততবারই তাঁকে জনগণ নির্বাচিত করবে|

আসলাম-উদ-দৌলা
আহ্বায়ক
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই
ও সাধারণ সম্পাদক
রাজশাহী প্রেসক্লাব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!