নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিরল রোগে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু তাশমিমা। ফুটফুটে বাচ্চাটি এখন অবহেলা আর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। পরিবারের সামর্থ্য নেই শিশুটির উন্নত চিকিৎসা করার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ১৪ নং ওয়ার্ডের পোলাডাঙ্গা ঈদগাহর পেছনে বাড়ি তোজাম্মেলের। তার ১৫ মাস বয়সী মেয়ে তাশমিমা, বিয়ের পর তোজাম্মেল দম্পত্তির দ্বিতীয় কণ্যা সন্তান তাসমিমা।
জানা গেছে, গর্ভবতী অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বুঝতে পারে বাচ্চার মাথা স্বাভাবিকের থেকে একটু বড়, শহরের সেবা ক্লিনিকে সিজার করে ভূমিষ্ট হয় শিশুটির।
জন্মের পর থেকেই নরম তুলতুলে মাথা নিয়ে বিপদে পড়ে বাবা মা। স্থানীয় ডাক্তাররা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়। কিন্তু
গরীব অসহায় তোজাম্মেল আর্থিক সমস্যার জন্য চিকিৎসা করাতে পারছেনা শিশুটির।
শিশুটির মাথার ওজন দিনদিন বড় হতেই আছে। অসহায় তোজাম্মেল-লাভলী দম্পতি তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ বিত্তবানদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। যাতে শিশুটিকে বাঁচাতে, উন্নত চিকিৎসার ভালো একটা ব্যবস্থা করা হয়। শিশুটির বাবা মো. তোজাম্মেল। পোলাডাঙ্গা ঈদগাহের পেছনেই বাড়ি। সরেজমিনে দেখতে বা সহযোগীতা করতে ০১৭১০-৬১০-৯০৯ এ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তোজাম্মেল-লাভলীর সন্তান কে নিয়ে গরীব অসহায় বাবা তোজাম্মেল ঢাকায় বেশ কিছুদিন চিকিৎসা করিয়েছেন। অনেকেই সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু আরও উন্নত চিকিৎসার দরকার। যা পরিবার কুলিয়ে উঠতে পারছে না। অর্থাভাবে এখন বাড়িতেই অজস্র যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন শিশুটি। এদিকে লকডাউনে আরও করুণ অবস্থা পরিবারটির। আপনারা যে যার মত হাতটা বাড়িয়ে দেন না। যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচিয়ে সুস্থ জীবনে শিশুটিকে ফিরিয়ে আনতে বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ রইলো।
গত বছরের ২০২০ আগস্ট মাসে রিপোর্ট টি প্রকাশিত হয় স্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও জাতীয় গণমাধ্যমে। ফ্রিল্যান্সার শাহনেওয়াজ দুলাল শিশুটির সন্ধান তখন বের করে আনেন। তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হুদা অলকসহ অনেকেই শিশুটিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। -ডি এম কপোত নবী।